|
|
|
|
চলন্ত ট্রেন থেকে প্রেমিকাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে যুবক উধাও |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² কালনা |
কথা ছিল একসঙ্গে থাকার। ঘর বাঁধার। সেই মতো বাড়িও ছাড়েন তাঁরা। কিন্তু ঘর করা হল না। শিলিগুড়িতে কিছু দিন একসঙ্গে থাকার পরে ফেরার পথে ‘হবু-ঘরণী’কে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে উধাও প্রেমিক। এমনই অভিযোগ জখম সেরিনা খাতুনের। বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। আপাতত তিনি কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। কালনা জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শনিবার। শুরু হয়েছে তদন্ত।
নিজের অভিযোগে সেরিনা জানিয়েছেন, তাঁর প্রেমিক আমিন শেখের বাড়ি কালনার বুলবুলিতলায়। সেরিনা বেলডাঙায় তাঁত বোনার কাজ করতেন। কোনও একটি সূত্রে মাস খানেক আগে সেরিনার মোবাইল নম্বর পেয়েছিলেন আমিন। তার পর থেকে ফোনেই চলত আলাপ। সময় সুযোগ করে মাঝেমধ্যে দেখাও করতেন দু’জনে। সেরিনার দাবি, দিন কয়েক আগে আমিন তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি ছাড়েন বছর তেইশের সেরিনা। সঙ্গে সামান্য কিছু টাকা আর কিছু গয়না। বাড়ি ছাড়ার পরে তাঁরা সোজা শিলিগুড়িতে গিয়ে একটি হোটেলে ওঠেন। ছিলেন সপ্তাহ খানেক। সেরিনার কথায়, “এর পরেই সব টাকা ফুরিয়ে যায়। আমরা ঠিক করি, বাড়ি ফিরে যাব। পরিবারের সদস্যদের সব কথা খুলে বলব।” |
|
কালনা হাসপাতালে সেরিনা। নিজস্ব চিত্র |
বুধবার শিলিগুড়ি থেকে ফেরার ট্রেনে চেপে বসেন দু’জন। পৌঁছন হাওড়া। তার পরে লোকাল ট্রেন ধরে যাচ্ছিলেন কালনার দিকেই। সেরিনার অভিযোগ, “আমাদের মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়নি। ট্রেনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে দু’জনে গল্প করছিলাম। হঠাৎই আমাকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল ও।” এর পরে আর জ্ঞান ছিল না সেরিনার। আহত ওই তরুণীর বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, হুগলির বৈঁচির কাছে ট্রেন থেকে পড়ে যান সেরিনা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে পাণ্ডুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। সেখানে দেখা এক আত্মীয়ের সঙ্গে। খবর যায় সেরিনার বাড়িতে। শনিবার আহত ওই তরুণীকে তাঁর বাড়ির লোকজন কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেরিনার বাবা আমান শেখ বলেন, “ওদের সম্পর্ক নিয়ে মেয়ে আমাকে কিছুই জানায়নি। ওই যুবকের বিরুদ্ধে জিআরপির কাছে অভিযোগ হয়েছে।” আমিন বা তার বাড়ির কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
সেরিনা কিন্তু এখনও অপেক্ষাতেই। তাঁর ইচ্ছে, ফিরে এসে আমিনই বিয়ে করুন তাঁকে। ক্ষমা করে দেবেন?“ওর জন্যই তো ঘর ছাড়লাম। বদনামের ভাগী হলাম।” ব্যান্ডেজের ফাঁকেই দপ করে উঠল সেরিনার চোখ, “না হলে যেন চরম শাস্তি হয় ওর।” |
|
|
|
|
|