|
|
|
|
মেয়ে শুধু ভাল মানুষ হোক, চান পুণ্যার বাবা-মা
|
নিজস্ব সংবাদদাতা ² দুর্গাপুর |
মেয়ে ভাল মানুষ হোক। তার বেশি কিছু চান না উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে একমাত্র ‘এএ’ গ্রেড প্রাপক পুণ্যা চট্টোপাধ্যায়ের মা-বাবা আলপনাদেবী ও বরুণবাবু। আর পুণ্যা বলছে, “মায়ের ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা করব।” অন্য দিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার পরে দুঃস্থ মেধাবীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই লক্ষ্য দুর্গাপুরের এমএএমসি টাউনশিপের বাসিন্দা, উচ্চ মাধ্যমিকে সফল ছাত্র কৌশিক ঘোষের।
দু’বছর আগে মাধ্যমিকেও ভাল ফল করেছিল পুণ্যা। তাই সে যে উচ্চ মাধ্যমিকেও ভাল করবে তা আশা করেছিলেন পরিজনেরা। কিন্তু এতটা ভাল, তা অনেকেই ভাবেননি। ফল শুনে খুশি পুণ্যা। তবে তা নিয়ে তেমন উচ্ছাস নেই। তার কথায়, “মন দিয়ে পড়াশোনা করেছি। বাকিটা হয়ে গিয়েছে।” সে আরও বলে, “উচ্চশিক্ষাতেও সাফল্য বজায় রাখতে হবে।” মেয়ের সাফল্যের খবরে পরিবারে খুশির ঢল নেমেছে। তবে তার তেমন প্রকাশ তেমন নেই। বাবা ব্যাঙ্ককর্মী বরুণবাবু জানান, উচ্চ মাধ্যমিকেও মেয়ের ভাল ফলের সেই ধারা বজায় থাকায় তিনি খুশি। তাঁর বড় মেয়ে ডাক্তারির ছাত্রী। তবে পুণ্যা চায় ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে। |
পুণ্যা চট্টোপাধ্যায়। |
কৌশিক ঘোষ। |
|
উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকদের তালিকায় নাম রয়েছে কৌশিকেরও। বাবা গোপাল ঘোষ বন্ধ হয়ে যাওয়া এমএএমসি কারখানার স্বেচ্ছাবসর নেওয়া কর্মী। মা প্রণতীদেবী গৃহবধূ। দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এমএএমসি মডার্ন হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে কৌশিক ভর্তি হয়েছিল বিধানচন্দ্র ইনস্টিটিউশন ফর বয়েজ স্কুলে। সেখান থেকেই মিলেছে উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্য। কৌশিকের কথায়, “যখন যা করি মন দিয়ে করার চেষ্টা করি। তাতেই সাফল্য মিলেছে।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সে। কৌশিক জানায়, অর্থের অভাবে মেধাবী পড়ুয়াদের পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তাকে কষ্ট দেয়। তার কথায়, “সহপাঠীদের কাছে শুনেছি, অর্থের অভাবে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় অনেকে। আমি বড় হয়ে মেধাবী দুঃস্থদের সাহায্য করতে চাই।”
|
নিজস্ব চিত্র |
|
|
|
|
|