নাটাবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে মন্ত্রিসভায় নেওয়ার আর্জি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন কোচবিহারের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব। নায়েব আলি (টেপু) স্মরণ সমিতি, কোচবিহার সিটিজেন ফোরাম, তুফানগঞ্জ মহকুমা প্রধান শিক্ষক সমিতি ছাড়াও জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফেও ওই আর্জি জানানো হয়েছে।
নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এ বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। দলের জন্মলগ্ন থেকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বলে পরিচিত রবীন্দ্রনাথবাবু মন্ত্রী হচ্ছেন এমনটাই জল্পনা ছিল জেলার বিভিন্ন মহলে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় শুধু নাটাবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা নন, জেলার বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের কর্তারাও অবাক হয়েছেন। যেমন, কোচবিহার সিটিজেন ফোরামের সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথবাবুর মতো উদ্যমী মানুষ। তিনি মন্ত্রী হলে জেলায় উন্নয়নের কাজ অনেক গতি পেত। কিন্তু সেটা না-হওয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। জেলার সার্বিক উন্নয়নের কথা ভেবে তাঁকে মন্ত্রী করার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফ্যাক্স করেছি।” আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রধান শিক্ষক সমিতির তুফানগঞ্জ মহকুমা সম্পাদক অম্লান বর্মা বলেছেন, “শুধু কোচবিহার জেলা নয়। উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নের জন্য রবীন্দ্রনাথবাবুর মতো লড়াকু ব্যক্তিকে মন্ত্রী করা জরুরি।” অম্লানবাবুরা ফ্যাক্স পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের দাবির কথা জানিয়েছেন। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির তরফেও একই আর্জি জানানো হয়েছে। সংস্থার সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “রবীন্দ্রনাথবাবুকে মন্ত্রী করার আবেদন জানিয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।” |