আদালতের ‘জেনারেল রেকর্ড সেকশন’ বা জিআরও অফিসের সামনে দুই জন কনস্টেবেলের সামনেই পালিয়ে গেল এক বিচারাধীন বন্দি। বুধবার দুপুর ২টা নাগাদ ইসলামপুর আদালত চত্বরে ঘটনাটি ঘটেছে। আদালত সূত্রের খবর, পলাতক ওই বন্দির নাম মহম্মদ ইউসুফ। তার বাড়ি বাংলাদেশের বালিডাঙি জেলার জেলার হরিণডাঙি এলাকায়। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর গোয়ালপোখর থানার পুলিশ ইউসুফকে গরু পাচারের মামলায় গ্রেফতার করে। তার পর থেকেই মামলাটি ইসলামপুর আদালতে চলছে। এদিন মামলার দিন ছিল। ঘটনার পর আদালত চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশ জানাচ্ছে, পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ইউসুফ আদালত থেকে পালিয়েছে। কারণ, সে দৌঁড়ে পালিয়ে প্রথমে আদালতের বাইরে যায়। সেখানে এক মোটর সাইকেল আরোহী তার জন্য অপেক্ষা করছিল। ওই মোটর সাইকেলের পিছনে বসেই ইউসুফ পালায়। ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করলেও রাত অবধি ইউসুফের কোনও সন্ধান মেলেনি। এ ছাড়া আরেকটি বিষয় নিয়েও পুলিশ কর্তারা তদন্ত শুরু করেছে। ইউসুফকে বাঁ হাতে ‘হ্যান্ডকাফ’ পরিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ফের একই ভাবে আদালত থেকে লকআপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সে সময় হ্যান্ডকাফের ভিতর দিয়ে হাত গলিয়ে বার করে ইউসুফ পালিয়েছে বলে পুলিশের দাবি। যদিও হ্যান্ডকাফ ঠিকঠাক লাগানো থাকলে কি ভাবে হাত ইউসুফ বার করে নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ অফিসারদের দাবি, ইউসুফের হাত খুবই সরু হওয়ায় সে হাত ভিতর থেকে বার করে নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে হাতের সরু কবজি না দেখেই পুলিশ কর্মীরা কেন হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ওই বন্দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তা তদন্তকারী অফিসারেরা খতিয়ে দেখছেন। তদন্ত শুরু করলেও এদিন রাত অবধি কোনও পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অবশ্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে ইউসুফের সঙ্গে আদালতে বা সংশোধনাগারে কারা কারা দেখা করতে আসত, সে সবই দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ অফিসারেরা জানিয়েছেন। উত্তর দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উজ্জ্বল ভৌমিক বলেন, “ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থলে কতর্ব্যরত পুলিশ কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্দির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” |