মেদিনীপুর মেডিক্যাল
চালু হল রেডিওথেরাপি ইউনিট
রেডিওথেরাপি ইউনিট চালু হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন হাসপাতাল সুপার রামনারায়ণ মাইতি। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সুপার ভাস্কর মণ্ডল-সহ অন্য চিকিৎসকেরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত সপ্তাহে এক দিন রেডিওথেরাপি ইউনিটের বহির্বিভাগ খোলা থাকবে। বিশেষত ক্যানসার রোগীরা এখানে এসে চিকিৎসা করাতে পারবেন। হাসপাতাল সুপার বলেন, “আপাতত প্রতি বুধবার রেডিওথেরাপির বহির্বিভাগ খোলা থাকবে বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিভাগের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও চলে এসেছে। এর ফলে অনেকেই উপকৃত হবেন।” পরে এই ইউনিট আরও ঢেলে সাজা হবে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এ দিন থেকেই রেডিওথেরাপি বিভাগে আসতে শুরু করেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। ওয়ার্ড থেকেও সংশ্লিষ্ট রোগীদের বহির্বিভাগে গিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলা হয়। সেই মতো বহির্বিভাগে আসেন গোয়ালতোড়ের রাধারানি দাস। রেডিওথেরাপি ইউনিটের ইনচার্জ চিকিৎসক দীপ্তিময় দাসের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁকে এক্স-রে রিপোর্ট দেখান। সেই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী চিকিৎসা-ব্যবস্থা নিয়ে গোয়ালতোড়ের ওই মহিলাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেন দীপ্তিময়বাবু।
চলছে চিকিৎসা। বুধবারের নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুর মেডিক্যালে রেডিওথেরাপি ইউনিট চালুর দাবি দীর্ঘ দিনের। রোগীর পরিজনেরাও এই দাবি অনেক দিন ধরে জানিয়ে আসছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ইউনিট থাকারই কথা। কিন্তু পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণেই এত দিন তা চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। ক’মাস আগেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে এই ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বহির্বিভাগের জন্য রুমও নির্দিষ্ট করা হয়। হাসপাতালে নতুনভবন তৈরি হয়েছে। এই নতুন ভবনেই বেশ কয়েকটি বিভাগের বহির্বিভাগ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এরই একতলার ঘরে রেডিওথেরাপি ইউনিট খোলা হল। রোগী ও তাঁদের পরিজনদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে হাসপাতালের দেওয়ালেও ইউনিটের নাম লেখার ব্যবস্থা করেছেন কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে প্রতি বুধবার যে বহির্বিভাগ খোলা থাকবে, তারও উল্লেখ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত এখানে কেমোথেরাপি ও সার্জিক্যালের চিকিৎসাই হবে। ক্যানসারের মূলত তিন রকম চিকিৎসা হয়। কেমোথেরাপি, সার্জিক্যাল ও রেডিওথেরাপি। রেডিওথেরাপির সরঞ্জাম এসেছে। ঘরও নির্দিষ্ট হয়েছে। কিন্তু এখনই তা চালু করা যাচ্ছে না। কারণ, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলেনি। অনুমতি এলে রেডিওথেরাপিও চালু করা হবে। রেডিওথেরাপি ইউনিট না-থাকার জন্য এত দিন বিশেষত ক্যানসার রোগীদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হত। ফলে রোগীরাও দুর্ভোগে পড়তেন। কিন্তু এ বার সেই পরিস্থিতি আর হবে না বলেই মনে করছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।

Previous Story Swasth Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.