স্কুল শিক্ষকদের ‘প্রাইভেট টিউশনি’ উপর নজরদারি শুরু করেছে জলপাইগুড়ি গৃহশিক্ষক সমিতি। শহর এবং লাগোয়া এলাকায় যে সব স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের বাড়িতে বা অন্যত্র প্রাইভেট টিউশনি করেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কোন দিন কোন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো হয়, কোথায় পড়ানো হয় এবং আনুমানিক কতজনকে পড়ানো হয় তার তথ্যও জোগাড় করার কাজ চলছে। সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে শহর এলাকার ২০ জন স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রাইভেট টিউশনির যাবতীয় তথ্য জোগাড় করা হয়ে গিয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠানো হবে। পাশাপাশি, তালিকার প্রতিলিপি জেলাশাসক, জেলা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পরিচালন সমিতির কাছেও পাঠানো হবে। শুধু তালিকা তৈরি করেই ক্ষান্ত নন গৃহশিক্ষক সমিতি। বুধবার সমিতির তরফে আয়কর দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অর্থের বিনিময়ে যে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশনি, তাঁদের বাড়িতে আয়কর হানার জন্য স্মারকলিপিতে দাবি জানানো হয়েছে। আয়কর দফতরের তরফে সমিতির সদস্যদের আশ্বাস দিয়ে জানানো হয়েছে, আয়কর দফতরের অফিসারেরা সমিতির সদস্যদের আশ্বাস দিয়েছেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গৃহশিক্ষক সমিতির মুখপাত্র সুজয় বর্মন বলেন, “স্কুলে শিক্ষাকতার সঙ্গে যুক্ত থেকে টাকার বিনিময়ে গৃহ শিক্ষাকতা করা যায় না। এটা বেআইনি। এই বিষয়ে জনমত গড়ে তুলতে আমরা গণকনভেশনও করেছি। একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা ভয় দেখিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের কাছে পড়তে বাধ্য করেন। প্রাইভেট টিউশনির জন্য স্কুলের পঠনপাঠনের ক্ষতিও হচ্ছে।” মাস দু’য়েক আগে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে প্রতিটি জেলার স্কুল পরিদশর্ককে লিখিত নির্দেশ পাঠিয়ে স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশনি পড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিয়ম ভাঙলে তাঁর বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলের পরিচালন সমিতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমিতিটি কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি প্রভাবিত। যুব আইএনটিইউসি-র জেলা সভাপতি শুভেন্দু বসু বলেন, “এক শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্যই স্কুলে সঠিক মানের পঠনপাঠন সম্ভব হচ্ছে না। এটা বন্ধ করতেই রাজ্য সরকার প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করতে নির্দেশিকা জারি পর্যন্ত করেছে। তবুই আইন মানা হচ্ছে না। বিষয়টি আমরা দেখছি। |