সংগঠনের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণ কাজের অভিযোগ ওঠায় বিব্রত সিটুর জেলা নেতৃত্ব। সিটুর দার্জিলিং জেলা সম্পাদক অজিত সরকার বলেন, “আমাদের কেউ অবৈধ নির্মাণ করেছে জানতাম না। জানানো হলে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তা ভেঙে দিতাম।” তবে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে অবৈধ নির্মাণ কাজের রমরমা চলছে বলেও তিনি সরব হন। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “এসএফ রোডে সিটুর ওই অফিসে অবৈধ নির্মাণ ছিল বলে জানতে পেরেছি। কোথাও কোনও ধরনের অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ পেলে সব ক্ষেত্রেই আমরা ব্যবস্থা নেব। অভিযান চলবে।” সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী পুরসবায় গিয়ে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে তিনি নিজে দাঁনিয়ে তেকে সব বেআইনি নির্মাণ ভাঙাবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেন। তার পরেই পুরসভা মঙ্গলবার অভিযানে নামে। সে দিন সেবক রোডে বাড়ি ভাঙার সময়ে স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা সৌরভ ভট্টাচার্য বাধা দেন বলে পুরকর্মীদের একাংশের অভিযোগ। পরে অবশ্য ভাঙার কাজ নির্বিঘ্নেই হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের সেবক রোডে, শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে, মেয়রের ওয়ার্ডে, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে, মহানন্দা সেতু লাগোয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বহুতল হোটেলের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ পৌঁছেছে পুরসভায়। মেয়রের ওয়ার্ডে রাজা রামমোহন সরণিতে একটি বহুতলের নিচে গ্যারেজের জায়গায় দোকান ঘর তৈরির অভিযোগ রয়েছে। মহকুমা পরিষদ লাগোয়া এলাকায় একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পার্কিংয়ের জায়গা আটকে চিকিৎসকদের বসার চেম্বার তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে বলে এক পুরকর্তা জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেছেন, “কোনও বাধার মুখে নতি স্বীকারের প্রশ্নই নেই। সব বেআইনি নির্মাণ পর্যায়ক্রমে ভাঙা হবে |