রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের বনাঞ্চলে আরও বেশি বাসিন্দাকে অল্প দামে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করল নতুন সরকার। এত দিন দু’টাকা কিলোগ্রাম দরে চাল পাওয়ার ক্ষেত্রে আয়ের ঊর্ধ্বসীমা ছিল বছরে ২৪ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ঘোষণা করেছেন, জঙ্গলমহলের যে-সব আদিবাসী পরিবারের বার্ষিক আয় ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত, তাদের সকলকেই ওই দামে চাল দেওয়া হবে। অর্থাৎ ওই অঞ্চলের আরও অনেক আদিবাসী সস্তায় চাল কেনার সুযোগ পাবেন।
জঙ্গলমহলে অশান্তির কারণ হিসেবে অনুন্নয়নের অভাবই দায়ী বলে মনে করে প্রায় সব পক্ষই। এই অবস্থায় সেখানে পুকুর কেটে ও সিমেন্টের ট্যাঙ্ক তৈরি করে জল জোগানোর কথা মঙ্গলবারেই ঘোষণা করা হয়েছে। তার পর দিন মুখ্যমন্ত্রী বেশি আদিবাসীকে সস্তার চাল দেওয়ার কথা জানালেন। তাঁর আশ্বাস, পরে রাজ্যের বাকি অংশের গরিবদের ক্ষেত্রেও এই প্রকল্প চালু হবে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুখ্যসচিব সমর ঘোষ এবং খাদ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জঙ্গলমহলের ৩ জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে আদিবাসীদের দু’টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হয়। আয়ের ঊর্ধ্বসীমা ছিল বাৎসরিক ২৪ হাজার টাকা। বাড়িয়ে ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হল।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বছরে ২৪ হাজার টাকা আয় মানে মাসে দু’হাজার টাকা। এখন যা অবস্থা, তাতে এই টাকায় হয় না। ঊর্ধ্বসীমা ৪২ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিলাম।” আয়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়লেও পরিবার-পিছু মাসে ৩৫ কেজি করেই চাল দেওয়া হবে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, জঙ্গলমহলে আদিবাসী নন, এমন বাসিন্দাদের আয় ৩৬ হাজার টাকার মধ্যে থাকলে তাঁরাও মাসে দু’টাকা দরে ৩৫ কেজি চাল পাবেন। |