রাজ্যে পালাবদলের পরেই রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণা অনুযায়ী রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ১১ সদস্যের কমিটি গড়ছে রাজ্য সরকার। ওই কমিটির মাথায় রাখা হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের এক জন প্রাক্তন বিচারপতিকে। বুধবার ওই কমিটি সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে কমিটি তাদের সুপারিশ সংবলিত রিপোর্ট পেশ করবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই।
মুক্তির উদ্যোগ হিসেবে কমিটি গড়া হলেও পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক বন্দির সংখ্যা কত, সরকারের কাছে তার কোনও হিসেব নেই। রাজ্যের আইন ও বিচার দফতরের বক্তব্য, একটি মানবাধিকার সংগঠন ইতিমধ্যে ৮০ জন রাজনৈতিক বন্দির একটি তালিকা সরকারের কাছে পেশ করেছে। কমিটি কাজ শুরু করলে অন্যান্য সংগঠনও তাদের তালিকা জমা দেবে। এই ব্যাপারে সব তালিকাই খতিয়ে দেখা হবে।
আইনের ভাষায় রাজনৈতিক বন্দির যে-সংজ্ঞা দেওয়া আছে, সরকার সেই অনুসারেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান এক সরকারি কর্তা। তিনি বলেন, “বিভিন্ন মামলায় বিচারাধীন বন্দিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখবে কমিটি। সংশ্লিষ্ট বন্দির অতীতে অপরাধের কোনও রেকর্ড আছে কি না, প্রয়োজনে তা-ও যাচাই করবে তারা। দরকার হলে স্থানীয় স্তরে নিজেদের মতো তদন্তও চালাতে পারবে কমিটি। তার ভিত্তিতেই ওই কমিটি রাজনৈতিক বন্দিদের তালিকা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করবে।
শুধু নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল নয়, জঙ্গলমহলের সংগঠন পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনগণের কমিটি (পিসিপিএ)-র মতো দলের বন্দিদেরও ওই কমিটির বিবেচনার আওতায় আনা হবে। একই ভাবে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ-তে যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, তারাও সরকারি কমিটির বিবেচনার মধ্যে থাকবে। |