সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দীর অভিযোগ, “সন্ত্রাস বন্ধে মুখ্যমন্ত্রী এক রকম বলছেন, আর আমাদের প্রতি দিন পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করতে হচ্ছে। শাসনে গত দু’সপ্তাহে ৫০ জনেরও বেশি দলীয় সমর্থক আক্রান্ত হয়েছেন। ২০ জন হাসপাতালে।’’ বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুরুল ইসলাম অবশ্য ফের আশ্বাস দেন, “আমরা শাসনকে রক্তাক্ত হতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, যারাই গণ্ডগোল করুক, তারা যদি আমাদের দলের লোকও হয়, ব্যবস্থা নিতেই হবে।”
নয়াগ্রামে আবার ছবিটা উল্টো। স্থানীয় নিমাইনগরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমোচ্ছিলেন তৃণমূল সমর্থক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী আঙুরবালা সেনাপতি। পাশে ছিলেন স্বামী। তাঁদের ছেলে, যুব তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতি অভিমন্যু ছিলেন ঘরে। রাত ১টা নাগাদ কয়েক জন বাড়িতে চড়াও হয়ে আঙুরবালার পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন। অভিমন্যুর অভিযোগ, সিপিএমের লোকজনই হামলা করে। সিপিএম সমর্থক বলে পরিচিত হরিশ ঘোষ, সমীর নায়েক ও প্রফু্ল্ল ঘোষ নামে তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। ওই রাতেই নদিয়ার কালীগঞ্জে মোলান্দি গ্রামে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে দু’পক্ষের ছ’জন জখম হয়েছেন।
মঙ্গলকোটে সামান্য ভোটে জিতেছে সিপিএম। তা সত্ত্বেও বুধবার বিকেলে সাঁকোনা গ্রামে তৃণমূল ‘বিজয় মিছিল’ বের করলে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূলের তিন জন এবং সিপিএমের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ দিনই ‘তৃণমূলের সন্ত্রাস কবলিত’ এলাকা দেখতে বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন জেলা বাম নেতৃত্ব। রাতে মুর্শিদাবাদে বড়ঞার শ্রীহট্টি গ্রামে সিপিএম ও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে বোমাবাজিতে তিন জন আহত হন। তাঁদের কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। |