খাতড়ার সাতটি কাঠ চেরাইয়ের কল বন্ধ করে দিল বন দফতর। মঙ্গলবার খাতড়া ও রানিবাঁধ রেঞ্জে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে বন দফতর সেখানে ‘বেনিয়ম’ দেখতে পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার বাঁকুড়া (উত্তর) বনবিভাগের ডিএফও সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “খাতড়া কলেজ থেকে আখখুটামোড় পর্যন্ত ওই সাতটি কাঠ চেরাইয়ের কলে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। কয়েকটি মিলে মজুত কাঠেরও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তাই, ওই সাতটি কাঠকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বনাঞ্চলের ২ কিলোমিটারের মধ্যে কাঠ চেরাইয়ের কল থাকার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো বাঁকুড়া জেলাতেও বনাঞ্চল এলাকার খুব কাছে কাঠ চেরাইয়ের কল রয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। মঙ্গলবার খাতড়া-রানিবাঁধ রাস্তার পাশে ১১টি কাঠ মিলে হানা দেওয়া হয়। তার মধ্যে সাতটিতেই ‘গোলমাল’ দেখা যায়। ডিএফও জানান, গত বছর খাতড়ার সুপুরের ২টি মিল একই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
|
স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম উজ্জ্বল দত্ত। বাড়ি কাশীপুরের কাটারাঙ্গুনি গ্রামে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই যুবককে বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বুধবার রঘুনাথপুর আদালতে ধৃতকে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ভোরে আদ্রা আসানসোল শাখার রামকানালি স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল বুলু দত্ত (২৫) নামে ওই বধূর। পরে বুলুদেবীর বাবা ঝালদার বাসিন্দা পঙ্কজ দত্ত রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মেয়েকে ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পঙ্কজবাবুর অভিযোগ, “ঘটনার আগের দিন রাতে মেয়ে আমাকে ফোনে বলেছিল, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে খুন করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।” রেল পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বধূর শ্বশুর নরেশ দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পেশায় রেলকর্মী উজ্জ্বলবাবুর দাবি, তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।
|
সরকারি অর্থ তছরুপের দায়ে ৮ বছর কারাদণ্ড হল পোস্টমাস্টার ও ডাক বিভাগের এক কর্মীর। বুধবার এই সাজা দেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের বিশেষ বিচারক মনোজিৎ মণ্ডল। সরকারি কৌঁসুলি রবীন্দ্রনাথ চট্টরাজ জানান, ২০০৬-এর ৪ নভেম্বর অর্থ তছরুপের অভিযোগ পেয়ে রঘুনাথপুর পোস্ট অফিসে তদন্তে যান পুরুলিয়া ডিভিশনের পোস্টাল সুুপার ভজগোবিন্দ শতপথি। নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল, ৬ লক্ষ ৭১ হাজার ২৪৭ টাকার কোনও হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। ওই টাকার বেশির ভাগই ছিল স্ট্যাম্প বিক্রির। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় পোস্ট মাস্টার বাসুদেব মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি পোস্টাল সুপারিন্টেডেন্টের কাছে জানিয়েছিলেন, গরমিলের পুরো দায় তাঁর নিজের। তবে টাকা সরিয়েছেন অ্যাকাউন্ট্যান্ট অসিত বরণ মল্লিক। তখন তদন্তে যাওয়া আধিকারিক ভজগোবিন্দ শতপথি লিখিত ভাবে দু’জনের বক্তব্য জানতে চান। দু’জনেই তছরুপের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এর পরে তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধে রঘুনাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। চাকরি থেকে দু’জনকে বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিযুক্তেরা জামিনে মুক্তি পান। ২০০৭-এর ৩১ জানুয়ারি পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করার পরে ফের বিচার শুরু হয়। মঙ্গলবার অভিযুক্ত দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৮ বছর কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক। অনাদায়ে আরও এক মাস কারাবাস হয়।
|
পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের ব্লক সদরগুলিতে নির্ধারিত সময়ে কর্মীদের উপস্থিতির হার কেমন হয়- সরজমিনে তা দেখতে বুধবার সকাল ১০টার পরে ঝালদা ১ ব্লকে পৌঁছলেন জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ। ওই ব্লকে কর্মীর সংখ্যা ৪৪। ব্লকে পৌঁছে জেলাশাসক দেখেন অধিকাংশ চেয়ারই ফাঁকা। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, “এতক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও দেখি ২৭ জন তখনও আসেননি। তাঁদের মধ্যে বিডিও রয়েছেন। পরে অনুপস্থিত কর্মীদের হাজিরা খাতায় দাগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, বিডিও-র সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। শরীর খারাপ থাকায় তিনি আসতে পারেননি। উনি কিন্তু আগে সে কথা জানাননি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে জেলাশাসক ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য শান্তিরাম মাহাতোর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে আলোচনা হয়েছে, সরকারি কাজে নিয়মানুবর্তিতার বিষয়ে। তার প্রধান শর্ত নির্দিষ্ট সময়ে কাজে আসা-যাওয়া। শান্তিরামবাবু বলেছিলেন, “মানুষের হয়রানি বন্ধ করতে কর্মসংস্কৃতির হাল ফেরাতে হবে।” জেলাশাসক বলেন, “বিডিও-সহ অনুপস্থিত সব কর্মীকে শো-কজ করা হয়েছে। তার জন্য এক দিনের মাইনে কাটা যাবে না।” |
এক বৃদ্ধের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম মদন বাউরি (৬০)। বাড়ি মানবাজার থানার শাঁওদা গ্রামে। সোমবার তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। |