|
|
|
|
‘হুমকি’, অভিযুক্ত উপপ্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²মানবাজার |
হুমকি দিয়ে কাজ থেকে শ্রমিকের তাড়ানো এবং জব কার্ডের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মানবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের। উপপ্রধানের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রায় ২৫ জন শ্রমিক বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মানবাজারের বিডিও কমলচন্দ্র দে আশ্বাস দিয়েছেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান সিপিএমের দীনু বাউরি।
মানবাজার থানার বনকাটা সংসদের অন্তর্গত কাহালপাড়া, কমলপুর ও কেন্দবেদিয়া গ্রামের শ্রমিকেরা বুধবার বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের আগে এলাকার রাজবাঁধ পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। নির্বাচনের সময়ে বন্ধ ছিল। বুধবার কাজে যোগ দিতে গেলে উপপ্রধান বাধা দেন। পরে হুমকি দিয়ে তাঁদের তাড়িয়ে দেন। কাহালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা লিল্টু বাউরি, বরেণ বাউরিদের দাবি, “নির্বাচনের আগে আমরা ওই পুকুর সংস্কারের কাজ করছি। আমরা তৃণমূল করি বলে এ দিন কাজে যোগ দিতে গেলে উপপ্রধান জানিয়ে দেন, ‘তোদের তৃণমূল কাজ দেবে। এখানে কাজ পাবি না।” লুধু বাউরি, ঝণ্টু বাউিরের অভিযোগ, “আমাদের জবকার্ড উপপ্রধান গচ্ছিত রেখেছেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর কাছে কার্ড না রাখলে আমরা মজুরি পাব না। এ দিন কার্ড ফেরত চাই।” শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, “দীর্ঘক্ষণ বাদানুবাদের পরে কয়েক জনের কার্ড ফেরৎ দিয়ে দেন উপপ্রধান। কার্ড নিয়ে দেখি, আমরা কাজ করিনি অথচ তাতে কাজ করার কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রত্যেকের নামে ১২-১৪ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। অথচ এক থেকে দেড় হাজার টাকার বেশি মজুরি পাইনি।”
উপপ্রধান দীনু বাউরির দাবি, “কাজ না দিয়ে কোনও শ্রমিককে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়নি। জব কার্ড থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও ভিত্তিহীন।” সিপিএমের মানবাজার লোকাল কমিটির সদস্য সুদীপ চৌধুরী বলেন, “ওই সব শ্রমিকেরা কাজের জন্য নতুন করে আবেদন করেননি। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁরা কাজ পেয়েছেন। ডাকঘর থেকে শ্রমিক ছড়া অন্য কেউ টাকা তুলে নিতে পারেন না। উপপ্রধানের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তৃণমূল এই নাটক করছে।” তৃণমূলের মানবাজার ব্লক যুব সভাপতি মানবেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “নিজেদের দোষ ঢাকা দিতে আমাদের ঘাড়ে তারা এখন দোষ চাপাচ্ছে।” বিডিও বলেন, “তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|