|
|
|
|
দ্রুত মার্কশিট বিলির দাবি অভিভাবদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² বাঁকুড়া |
মার্কশিট সংশোধন করে দ্রুত বিলির দাবি জানালেন পুরন্দরপুর হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। বুধবার তাঁরা এ ব্যাপারে বাঁকুড়ার জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারিকে স্মারকলিপি দেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাশীনাথ মিশ্র। জেলাশাসক বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) বলেছি। কেন এই ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে তাঁর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।”
বাঁকুড়া ২ ব্লকের পুরন্দরপুর হাইস্কুল থেকে এ বার ৭৩ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে,সব পরীক্ষার্থীরই মাকর্শিটে বাংলা ভাষার দ্বিতীয় পত্রের মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ হয়নি। প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, স্কুলের তরফে বাংলার দু’টি পত্রের মৌখিক নম্বর যোগ না করে পাঠানোর জন্যই এমন ভুল হয়েছে। মাকর্শিটগুলি সংশোধনের জন্য পর্ষদে তিনি সেগুলি জমা দিয়েছেন। মাকর্শিট হাতে না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকের কাছে বিক্ষোভ দেখান। তার পরে এ দিনই তাঁরা জেলাশাসকের কাছে দ্রুত মাকর্শিট বিলির দাবিতে স্মারকলিপি দিলেন। তাঁদের সঙ্গে স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য দেবদাস লো, শুভাশিস সিংহ ও কাঞ্চন চট্টোরাজও ছিলেন। বিধায়ক কাশীনাথবাবু বলেন, “স্কুলের প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির জন্যই পরীক্ষার্থীরা মার্কশিট হাতে না পেয়ে দুঃশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। যারা অন্য স্কুলে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তাঁরা মার্কশিট হাতে না পাওয়ায় আবেদন করতে পারছে না। ওই ছাত্রছাত্রীদের হাতে দ্রুত মার্কশিট তুলে দেওয়া ও প্রধান শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছি।” জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূর্ণচন্দ্র জানা বলেন, “ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, স্কুলের তরফেই এই ভুল হয়েছিল। এ দিন তিনি পর্ষদের অফিসে সংশোধিত মার্কশিট আনতে গিয়েছেন। শীঘ্রই সেগুলি বিলি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।” |
|
|
|
|
|