টুকরো খবর
সংস্কার হয় না, বিপজ্জনক রাস্তাতেই ঝুঁকির যাতায়াত
মাত্র পাঁচ কিলোমিটার ইটের রাস্তা। কিন্তু সেটাই মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই রাস্তায় যাতায়াতকারী এলাকার মানুষের কাছে। কারণ গোটা রাস্তাটি ইটের হলেও বহু জায়গাতেই ইট উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। দিনের বেলায় পথ চলতেই পথচারীদের নাজেহাল অবস্থা। রাতের অন্ধকারে সেই দুর্দশা আরও বাড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার মথুরাপুরের পশ্চিম সুবুদ্ধিপুর মোড় থেকে নিমপীঠ পর্যন্ত ওই রাস্তায় শেষ কবে সংস্কারের কাজ হয়েছে এলাকার অনেকেই মনে করতে পারলেন না। সংস্কারের অভাবে এবং বৃষ্টির ফলে বর্তমংানে রাস্তার যা অবস্থা তাতে চলাচলের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ স্থানীয় লালপুর, ফুটিগাদা, দেবীপুর অঞ্চলের মানুষকে এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা আলমগির হোসেন জানান, মথুরাপুর বা ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে যেতে হলে এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। দিনের বেলায় তবুও দেখেশুনে হাঁটা যায়। কিন্তু আলো না থাকায় রাতের অন্ধকারে ওই রাস্তায় চলাফেরা করাই দায়। লালপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান আব্দুর রাজ্জাক হালদার বলেন, “ওই রাস্তা সংস্কারের জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা আমাদের তহবিলে নেই। জেলা পরিষদকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে।”

অভাবের সঙ্গে লড়ে শিক্ষিকা হতে চায় হালিমা

ছবি: নির্মল বসু।
দিনের পর দিন দেখেছে, এক মনে কাপড়ে সুতোর নকশা করে চলেছে মা। সেই কাজের টাকায় চলেছে তার পড়াশোনা। মায়ের কষ্ট দেখতে না পেরে পড়াশোনার ফাঁকে সময় পেলেই মাকে সাহায্য করেছে সে। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করত পড়াশোনা শিখে ভাল চাকরি করে এই দুঃখ ঘোচাবে সে। মনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়েই এ বার মাধ্যমিকে স্কুলের ৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সকলের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে বসিরহাটের সংগ্রামপুর বি কে ইনস্টিটিউশনের ছাত্রী হালিমা খাতুন। চারি বিষয়ে লেটার নিয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৩৫। সংগ্রামপুরের
পূর্বপাড়ায় বাড়ি মনসুর গাজীর। তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে হালিমা মেজো। ইটভাটার শ্রমিক মনসুর যা রোজগার করেন তাতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। তার উপরে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা। তাই ছেলেমেয়ের মুখের দিকে চেয়েই কাপড়ে সুতোর নকশা করার কাজ নিয়েছিলেন মা আাজিদা বিবি। বড় মেয়ে জাহানারার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে আনিসুর ইটভাটাতেই কাজ করে বি এ পড়ার খরচ চালান। ছোট বোন ফতেমা আগামী বছর মাধ্যমিক দেবে। হালিমার কথায়, “স্কুলের শিক্ষকেরা বইপত্র দিয়ে সাহায্য না রলে এতদূর পৌঁছতে পারতাম না।” আরও জানায়, তাদের সংসারে প্রচণ্ড অভাব। তবু বাবা-মা চান তাঁরা যেন পড়াশোনা শিখে মানুষের মতো মানুষ হন। গৃহশিক্ষক বাসুদেব সর্দারের কাছেও কৃতজ্ঞ হালিমা। কারণ বেতন দিতে না পারলেও তিনি তাকে পড়িয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “আমাদের স্কুলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই খুব গরিব ঘর থেকে আসা। তা সত্ত্বেও হালিমার এমন সাফল্যে আমরা গর্বিত।” ভবিষ্যতে স্কুলশিক্ষিকা হতে চেয়ে হালিমা জানায়, তাকে যেমন পড়াশোনায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা সাহায্য করেছেন, তেমন সেও তা করতে চায়।

মানুষের সেবা করতে চায় নীলাঞ্জনা
মানুষের সেবা করতে চায় নীলাঞ্জনা। আর সেই কারণেই মাধ্যমিকের পরে চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্যেই নিজেকে তৈরি করতে চায় সে। উত্তর ২৪ পরগনার এ বার যে সব ছাত্রছাত্রী ভাল ফল করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে বসিরহাটের হরিমোহন দালাল গার্লস হাইস্কুলের নীলাঞ্জনা দে। বসিরহাটে পশ্চিম দণ্ডিরহাটে রামকৃষ্ণ মিশনের পাশেই বাড়ি নীলাঞ্জনাদের। বাবা-মা দু’জনেই স্কুলশিক্ষক। অঙ্কে কেবল ১০০-র মধ্যে ১০০ নয়, আটটি বিষয়ে লেটার পেয়েছে নীলাঞ্জনা। তবুও মন খারাপ তার। কারণ ইতিহাস ও জীবন
নিজস্ব চিত্র।
বিজ্ঞানে নম্বর আশানুরূপ হয়নি। অঙ্ক ছাড়া আর কোনও বিষয়ে নীলাঞ্জনার গৃহশিক্ষক ছিল না। “কোনও অসুবিধা হলে বাবা-মায়ের কাছেই দেখিয়ে নিতাম”। জানাল মাধ্যমিকে ৭৩৪ পাওয়া ছাত্রীটি। কথার ফাঁকেই আরও জানিয়ে দেয়, রাত জেগে পড়া তার পছন্দ নয়। বদলে দিনে আট থেকে দশ ঘণ্টা পড়ে। নিজের এমন সাফল্যের জন্য স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছেও সে কৃতজ্ঞ। জানায়, “সমস্যায় পড়লেই ওঁদের কাছে ছুটে গিয়েছি। সাহায্যও পেয়েচি অনেক।” স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর মিষ্টি স্বভাবের ছাত্রীটির সাফল্যে খুশি।পড়াশোনার বাইরে সময় পেলেই টিভিতে ক্রিকেট আর টেনিসই নীলাঞ্জনার প্রিয় খেলা। পড়তে ভাল লাগে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই। রবীন্দ্রসঙ্গীত আর হিন্দি গানের ভক্ত নীলাঞ্জনা নাচেও পারদর্শী।

পানীয় জলের সঙ্কট
পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে কুলপির কেওড়াতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীনাথপুর গ্রামের মণ্ডলপাড়া, বৈরাগীপাড়া এবং পাত্রপাড়ায়। ফলে, সমস্যায় পড়েছেন ওই তিন পাড়ার প্রায় ৬০০ বাসিন্দা। কেননা, বছর খানেকেরও বেশি সময় ধরে ওই তিনটি পাড়ার তিনটি নলকূপই খারাপ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খারাপ নলকূপগুলি সারানোর জন্য একাধিকবার পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিডিওকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি। পানীয় জলের জন্য ওই তিনটি পাড়ার বাসিন্দারা এখন ভিড় করেন পাশের বসর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের একটিমাত্র নলকূপ থেকে তাঁরা জল নেন। এ জন্য প্রতিদিন স্কুলে লম্বা লাইন পড়ে। জল নেওয়া নিয়ে বচসাও বাধে। বিঘ্নিত হয় বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন। গ্রামবাসীরা জানান, রাস্তায় ইট না-থাকায় গত বছর বর্ষার সময়ে মহিলাদের এক হাঁটু কাদা ভেঙে জল আনতে যেতে হয়েছিল। এ বারও বর্ষায় একই পরিস্থিতি হবে বলে তাঁদের আশঙ্কা। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের সত্যেন অধিকারী বলেন, “ওই তিনটি পাড়ায় নতুন নলকূপ বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য পঞ্চায়েত সমিতিকে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে খারাপ নলকূপগুলি সারানোর ব্যবস্থাও করা হবে।” কুলপির বিডিও সুদীপ্ত দেবনাথ বলেন, “খারাপ নলকূপগুলি শীঘ্রই সারানো হবে। আর্থিক সমস্যার কারণে নতুন নলকূপ বসানো যাচ্ছে না।”

আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত ২
মঙ্গলবার রাতে ক্যানিংয়ের ঘুটিয়ারি শরিফের ১ নম্বর বিদ্যাধরী পল্লি এলাকার বাসিন্দা মনতোষ হাওলাদারকে রিভলভার-সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। মনতোষকে জেরা করে এর পরে বিশ্বজিৎ মজুমদার নামে এক গ্রামবাসীর কাছ থেকে দু’টি বোমা উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিতকেও।

মন্দিরে লুঠ
নির্মীয়মাণ মন্দির থেকে প্রণামীর বাক্স লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে, খড়দহের মহোৎসবতলা ঘাটের কাছে ইস্কনের একটি মন্দিরে। পুলিশ জানায়, রাত আড়াইটে নাগাদ ছ’-সাত জনের দুষ্কৃতী দলটি মন্দিরের সামনে রাখা প্রণামী বাক্সটি ভেঙে টাকা-পয়সা নিয়ে পালায়। পুলিশের অনুমান, মন্দিরটি গঙ্গার ধারে নির্জন জায়গায় হওয়ায় দুষ্কৃতীরা সহজেই নদী পেরিয়ে পালিয়ে গিয়েছে।

ফের মিলল বোমা
কামারহাটির ঠাকুরদাস চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে ফের উদ্ধার হল একটি সকেট বোমা। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ জানায়, বুধবার রাস্তার ধারে বোমাটি দেখেন স্থানীয়েরা। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র কামারহাটির ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বোমা ফাটানোর অভিযোগ করেছিলেন। বোমা উদ্ধারও হয়। এক দুষ্কৃতী গ্রেফতার হয়।

যুবক গ্রেফতার
অটোতে কম দামে বেআইনি গ্যাস ভরার অভিযোগে একটি অটো ও চারটি সিলিন্ডার-সহ এক ব্যাক্তিকে বুধবার পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ জানায়, বাবু নন্দী নামে ওই ব্যাক্তি ঘোলা থানার বিলকান্দা ১ পঞ্চায়েতের মুড়াগাছায় এক গুমটিতে অটোতে গ্যাস ভরার ব্যবসা করত। কম দামে গ্যাস ভরার সুযোগ পেয়ে কিছু অটোচালক গুমটি থেকে নিয়মিত গ্যাস ভরাতেন। পুলিশ এ দিন আচমকা হানা দিয়ে বাবুকে ধরে। তার দুই শাগরেদ মহাদেব ও শিবু পলাতক। অন্য দিকে, ক্ষুর মারার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সুজিত পাল নামে এক অটোচালক। বিধাননগর (উত্তর) থানার পুলিশ বুধবার জানায়, দু’দিন আগে শ্যামল হালদার নামে অন্য এক অটোচালককে বচসার সময় ক্ষুর মারেন সুজিত। ধৃত অটোচালককে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে এ দিন তৃণমূলের সমর্থনকারী অটোচালকেরা থানায় বিক্ষোভও দেখায়।

স্কুলে চুরি
পর পর দু’টি ঘরের তালা ভেঙে বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাট বি কে এ পি গার্লস হাইস্কুল থেকে কয়েক হাজার টাকা চুরি হয়ে গেল মঙ্গলবার রাতে। বুধবার সকালে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ যায়।
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.