সব স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মেধা-তালিকা প্রকাশের দাবি জানাল এসএফআই। বুধবার এই দাবি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর সঙ্গে দেখা করে সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল। স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। দাবি করা হয়, স্কুলগুলো যাতে ইচ্ছে মতো ভর্তি ফি নিতে না-পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। সরকারি ফি-কাঠামোর ভিত্তিতেই ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি নিতে হবে। সেই সঙ্গে শহরের সমস্ত ছাত্রছাত্রী যাতে শহরের স্কুলেই ভর্তি হতে পারে, তার ব্যবস্থাও করতে হবে। এসএফআইয়ের মেদিনীপুর শহর জোনাল সম্পাদক অসিত লৌহ বলেন, “বেশ কয়েকটি স্কুল বাড়তি ভর্তি ফি নেয়। আমরা এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। গরিব ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে ছাড়েরও ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি স্কুলে আসন সংখ্যা বাড়ানোও জরুরি।” তাঁর দাবি, এ বার প্রায় প্রতিটি স্কুলেই আসন সংখ্যা বাড়ছে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন। |
দীর্ঘ দিন ধরে যে এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে, সেই ধেড়ুয়াতেই বিজয়-মিছিল করল তৃণমূল। মিছিলে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বুধবার মালবাঁধি থেকে শুরু হয় এই মিছিল। পরে তা ধেড়ুয়ায় পৌঁছয়। ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দীনেন রায় প্রমুখ। মেদিনীপুর সদর ব্লকের ধেড়ুয়া, চাঁদড়া ও তার আশপাশের এলাকায় ক’দিন আগেও সিপিএমের প্রভাব ছিল প্রশ্নাতীত। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর-পরই পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়। এই এলাকা মেদিনীপুর বিধানসভার অন্তর্গত। এ বার মেদিনীপুর আসনও তৃণমূলের দখলে এসেছে। ফলে নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিস্তীর্ণ এলাকায় তৃণমূলের প্রভাব বাড়ছে। |
মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ সব ছাত্রছাত্রীকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিশ্চিত করা ও সরকার নির্ধারিত ভর্তির ফি নেওয়ার দাবিতে সরব হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা বাঁচাও কমিটি। কমিটির মুখপাত্র নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে মাথাপিছু ৭৭ টাকা ও শহরে ৯০ টাকা ভর্তির ফি নেওয়ার কথা। আর বিজ্ঞান বিভাগে প্র্যাক্টিক্যাল বিষয়ের জন্য নেওয়ার কথা অতিরিক্ত ১২ টাকা করে। কিন্তু জেলার স্কুলগুলি তা মানছে না।” তাঁর অভিযোগ, ভর্তির আগে ফর্ম পিছু ২০-৬০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। ভর্তি ফি বাবদ জেলার বিভিন্ন স্কুল ২৫০-৭০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। একই অভিযোগে সম্প্রতি ডিএসও’র তরফে তমলুকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে ও কাঁথিতে সহকারী জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। |
টানা ৪৬ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে বুধবার থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে বেরোলেন কাঁথি উপকূলের মৎস্যজীবীরা। সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ জানান, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য চলতি বছরে প্রায় তিন হাজার ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকো মৎস্য দফতরে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে। কাঁথি উপকূলের দিঘা মোহনা, শঙ্করপুর, শৌলা, দাদনপাত্রবাড়, বগুরান জালপাই থেকে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। দিনে গড়ে ৫০০ ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকো গভীর সমুদ্রে ব্যস্ত থাকে। সব মিলিয়ে হাজার তিরিশেক মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে মাছ ধরেন। আর তার উপর পরোক্ষে নির্ভর করেন মহকুমার লক্ষাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী। সমুদ্রে মাছের পরিমাণ বাড়াতে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য মৎস্য দফতরের। |