শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই মাধ্যমিকে দারুণ ফল করল আট দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রী। হলদিয়ার বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম দৃষ্টিহীন শিক্ষায়তনের ওই আট পড়ুয়াই পরীক্ষা দিয়েছিল লেখকের সাহায্য নিয়ে। ওই আট জন হল মহাদেব জানা, সঙ্গীতা ম্যেটিয়া, সোনালী দোলই, গঙ্গামনি বেরা, চন্দনা মণ্ডল, বিশ্বনাথ রায়, রিনা পাল, কাঞ্চন বেরা প্রমুখ। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াও তাদের পথে আরও এক বড় বাধা ছিল সংসারের অনটন। সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তারা কেউ সব বিষয়ে ‘এ’, কেউবা ‘এ প্লাস’ পেয়েছে। সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এই আট পড়ুয়াকে ফুল, মিষ্টি ও স্মারক দিয়ে সংবর্ধনা জানালেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। |
গত ৩১ মে মঙ্গলবার এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমে আসেন। শুভেন্দুবাবু ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আশ্রমের প্রধান স্বামী শ্রী বিশ্বনাথানন্দ।
সংবর্ধনার পরে চণ্ডীপুরের বাসিন্দা মহাদেবের অনুভূতি, “মনে হচ্ছে যেন স্বপ্ন দেখছি। এত ভাল ফল করলাম। তারপর এই সংবর্ধনা আমার মনের জোর বাড়াল।” পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বাসিন্দা সোনালী দোলই জানায়, “বাবা দিনমজুর। মা পারিবারিক সহায়িকা। আশ্রম সাহায্য না করলে পড়াই হত না।” পড়াশুনার পাশাপাশি নানারকম হাতের কাজও সে আশ্রমেই শিখেছে বলে জানায় সোনালি। পড়ুয়াদের সাফল্যে খুশি আশ্রম কর্তৃপক্ষ। শুভেন্দুবাবু বলেন, “ওই আটজন আমার অনুপ্রেরণা। ওদের কাছে আসতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার জন্য সব ধরনের সাহায্যই ওরা আমার থেকে পাবে।” |