|
|
|
|
প্রধানদের অভয় দিলেন বিধায়ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা²ঘাটাল |
পঞ্চায়েত প্রধানদের নির্ভয়ে কাজে যোগ দেওয়ার আর্জি জানালেন ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই ঘাটাল মহকুমা জুড়ে সিপিএমের পঞ্চায়েত প্রধান ও নির্বাচিত সদস্যরা রাজনৈতিক হিংসার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। তার জেরে অধিকাংশ পঞ্চায়েত প্রধানই দফতরে আসছেন না। ফলে থমকে গিয়েছে উন্নয়ন। এই পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতেই তৃণমূলের নবনির্বাচিত বিধায়ক অভয় দিয়েছেন।
দাসপুর ২ বাদে ঘাটাল মহকুমার বাকি ৪টি ব্লকের বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতেই ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা। নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত পঞ্চায়েত প্রধানরাই অফিসে আসছেন না। তার জেরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। এ বার তৎপরতা দেখালেন ঘাটালের তৃণমূল বিধায়কও। তবে তৃণমূলের লোকজনের হুমকির জেরেই যে পঞ্চায়েত প্রধানরা দফতরে আসছেন না, এই অভিযোগ মানেননি তিনি। বুধবার শঙ্করবাবু বলেন, “তৃণমূলের ভয়ে প্রধানরা আসছেন না, এ কথা ঠিক নয়। প্রধানদের মারধরের অভিযোগও মিথ্যা। আসলে ওঁরা এত দিন দুর্নীতি করেছেন, তার ভয়ে অফিসে আসছেন না।” কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানদের গরহাজিরা তো এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেবে! এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত প্রধানদের উদ্দেশে শঙ্করবাবুর আশ্বাসবাণী, “আপনার নির্ভয়ে দফতরে আসুন। এলাকার উন্নয়নে তৃণমূল সব রকম সাহায্য করবে।”
একই বক্তব্য চন্দ্রকোনার তৃণমূল নেতা অমিতাভ কুশারীর। অমিতাভবাবু বলেন, “ভাটের ফল ঘোষণার পর প্রধানরা নিজেরাই অফিসে আসেননি। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কারও কোনও সম্পর্ক নেই। ওঁরা দফতরে আসুন। আমরা সাধ্যমতো সাহায্য করব।” পঞ্চায়েতের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হয়েছেন ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারীও। তাঁর বক্তব্য, “সরকারি ভাবে প্রধানদের চিঠি দিয়ে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।” |
|
|
|
|
|