তৃণমূলের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাত থেকেই উত্তেজনা রয়েছে চন্দ্রকোনার মানিককুণ্ডু গ্রামে।
মঙ্গলবার রাতে গ্রামের শীতলা পুজো দেখে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোবিন্দ চক্রবর্তীর ছেলে সুনীল ওরফে রানা। অভিযোগ, তখনই সিপিএমের চার জন তাঁর উপর চড়াও হয়। সুনীলকে গ্রাম সংলগ্ন ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে প্রচণ্ড মারধরের পরে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পরে কোনওক্রমে সুনীল গলা থেকে গামছার ফাঁস খুলে বাড়ি ফিরে আসেন। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “সিপিএমের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” সিপিএম নেতা গুরুপদ দত্ত অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য “নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় আমাদের সব দলীয় অফিস বন্ধ। দলের নেতারা সব ঘরছাড়া। তৃণমূলের কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। আর আমাদের নামে দোষ চাপাচ্ছে।”
বুধবার এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকায় দফায় দফায় মিছিলও করে তৃণমূল। সেই মিছিল থেকে সিপিএম নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। তবে হতাহতের খবর নেই। মারধরের ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় এবং দলীয় মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। |