পরে হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে বর্ধমান জেলা প্রশাসন জানায়, পুকুরের মাঝ থেকে ১০০ ফুট পর্যন্ত যে জায়গা দিলীপবাবু ভরাট করেছিলেন, তার মধ্যে ৮৫ ফুট মুক্ত হয়েছে। ভরাট থাকা বাকি ১৫ ফুটের মধ্যে ১০ ফুট পুকুরের পাড় বলে চিহ্নিত। তার পাশ দিয়ে পাকা রাস্তা গিয়েছে। রাস্তা সংলগ্ন ওই ১৫ ফুট অংশ থেকেও মাটি ও ছাই তুলে ফেলতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। শেষমেশ ৯ মার্চ হাইকোর্টে পেশ করা রিপোর্টে অতিরিক্তজেলাশাসক এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে জানানো হয়, পুকুরটি সম্পূর্ণ ভাবে আগের অবস্থায় ফিরেছে। পুকুরটির চরিত্র অপরিবর্তিত রাখার জন্য ১৭ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষ জেলা প্রশাসন, মৎস্য দফতর এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে নির্দেশ দেন।
দিলীপবাবুর দাবি, “হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার আগেই আমি পুকুরে ফেলা ছাই ও মাটি সরিয়ে ফেলেছি। ওই পুকুরের জলকর অংশ ১৬ শতক, তা এখন সম্পূর্ণ মুক্ত।” কিন্তু গ্রামবাসীর অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও পুকুর ভরাট করা আটকানো হল না কেন? সিপিএম নিয়ন্ত্রিত রায়না পঞ্চায়েতের প্রধান মাধবীলতা ধারা প্রথমে দাবি করেন, “ও সব ব্লক অফিস থেকে করা হয়।” কিন্তু রাজ্যের জলাভূমি রক্ষা আইনে যে স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুরসভাকে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে? এ বার প্রধান বলেন, “আমাদের না জানিয়েই ওই কাজ করা হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। তিনি তা করেওছেন।”
স্থানীয় বাসিন্দা নন্দদুলাল সরকার, চৌধুরী হবিবুল মহসিনেরা অবশ্য অভিযোগ করেন, ওই পুকুরের কিছুটা এখনও ভরাট অবস্থাতেই রয়ে গিয়েছে। প্রধানের প্রতিক্রিয়া, “পুকুরের মাপ আমাদের কাছে নেই। তাই কোনও অংশ ভরাট অবস্থায় রয়ে গিয়েছে কি না, তা বলতে পারব না।” |