টুকরো খবর

বৈঠকে বনমন্ত্রী
ডুয়ার্সে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যু ঠেকাতে রেল কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। ওই বৈঠকে সঙ্গে থাকবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। আলিপুরদুয়ারে ডিআরএম অফিসে আগামী ১৮ জুন ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বুধবার মহাকরণে এ কতা জানান বনমন্ত্রী। ডুয়ার্স এলাকায় হাতির করিডরের উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। আগে ন্যারো গেজের লাইন ছিল। ট্রেনের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। ব্রডগেজ লাইন হওয়ার পরে দ্রুতগামী ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। রাতে যাতায়াতের পথে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। গত চার বছরে এ ভাবেই ট্রেনের ধাক্কায় ২০টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। হিতেনবাবু বলেন, “হাতি যাতায়াতের করিডরে ট্রেনের চলাফেরার সময় ট্রেন আস্তে চালানো যায় কি-না, তা নিয়ে রেল কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আগের সরকারের আমলে এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হবে।” বনমন্ত্রী জানান, ডুয়ার্স এলাকায় হাতির করিডরে রেল লাইনের নীচ দিয়ে হাতিদের চলাফেরার ব্যবস্থা করা যায় কি-না, তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা চলছে।” বনমন্ত্রী জানান, ওই এলাকায় ওয়াচ-টাওয়ারের ব্যবস্থা করা যায় কিনা খতিয়ে দেখা হবে। শীতকালেই সমস্যা বেশি হয়। তাই নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।


হাতির মৃত্যু
নদী বাঁধ থেকে পা পিছলে ২০ ফুট নীচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতির। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের হ্যামিলটনগঞ্জ থানার বক্সার জঙ্গলে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভুতরি জঙ্গল থেকে ৭-৮টি বুনো হাতির একটি পাল বেরিয়েছিল। কোনও ভাবে এই স্ত্রী হাতিটি নদী বাঁধে ওঠার পরে পা পিছলে নীচে পড়ে যায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “বাঁধ থেকে নীচে পড়ে যাওয়ায় স্ত্রী হাতির পিছনের দিকে গভীর ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়। অতিরিক্ত রক্তপাতজনিত কারণে না কি হাড়গোড় ভেঙে হাতিটির মৃত্যু হল সেটা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেলে স্পষ্ট হবে।”
বুধবার ছবিটি তুলেছেন রাজু সাহা।
বুধবার এলাকার বাসিন্দারা বুনো হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখে বনকর্মীদের খবর দেন। বনকর্মীরা দেহটি রাজাভাতখাওয়ায় নিয়ে গিয়ে ময়না-তদন্তের ব্যবস্থা করে। এই হাতিটি নিয়ে গত ৩ মাসে বক্সার জঙ্গলে মোট ৮টি হাতির মৃত্যু হল। পর পর হাতির মৃত্যুর জেরে ক্ষোভ বাড়ছে পরিবেশ প্রেমী মহলে। আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত বলেন, “বাঁধ থেকে নীচে পড়ে গিয়ে হাতিটি মারা গিয়েছে বলে বন দফতর জানালেও আমাদের কাছে অন্য খবর রয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১০-১২ দিন ধরে হাতিটি শরীরে পিছনে গভীর ক্ষত নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। বাসিন্দাদের অভিযোগ বন দফতর খতিয়ে দেখুক। বাসিন্দাদের অভিযোগ সঠিক হলে কেন বনকর্মীরা হাতিটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি তাও খতিয়ে দেখা হোক।”


কাঠকল বন্ধ
খাতড়ার সাতটি কাঠ চেরাইয়ের মিল বন্ধ করে দিল বন দফতর। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার খাতড়া ও রানিবাঁধ রেঞ্জে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে বন দফতর সেখানে ‘বেনিয়ম’ দেখতে পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার বাঁকুড়া (উত্তর) বনবিভাগের ডিএফও সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “খাতড়া কলেজ থেকে আখখুটামোড় পর্যন্ত ওই সাতটি কাঠ চেরাইয়ের মিলে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। কয়েকটি মিলে মজুত কাঠেরও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তাই, ওই সাতটি কাঠ মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মিল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বনাঞ্চলের ২ কিলোমিটারের মধ্যে কাঠ চেরাইয়ের মিল থাকার উপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাঁকুড়ার বনাঞ্চল এলাকার খুব কাছে কাঠ চেরাইয়ের মিল আছে বলে অভিযোগ ছিল। তার জেরেই মঙ্গলবার হানা দেয় বন দফতর।


দর্শক টানতে
দর্শকদের আকর্ষণ বাড়াতে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় আনা হচ্ছে চারটি লাল ক্যাঙারু। তার মধ্যে আছে দু’টি পুরুষ এবং দু’টি স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালেই দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছবে তারা। একই দিনে সুন্দরবনের ভগবতপুর কুমীর প্রজনন কেন্দ্র থেকে তিনটি পুরুষ এবং তিনটি স্ত্রী কুমীরও আসছে চিড়িয়াখানায়। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইজরায়েল থেকে আনা হচ্ছে ১ থেকে ৩ বছরের দু’টি পুরুষ এবং দু’টি স্ত্রী জেব্রা। আলিপুর চিড়িয়াখানায় তাদের বিশেষ সংরক্ষিত জায়গায় তিন জন পশু-চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পনেরো দিন রাখা হবে। পরে তাদের দর্শকদের জন্য চিড়িয়াখানায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মণ বুধবার মহাকরণে এ খবর দিয়ে জানিয়েছেন, ১৯৭৬ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত লাল ক্যাঙারু আলিপুর চিড়িয়াখানায় ছিল। তার পরে এ বার ফের লাল ক্যাঙারু আনা হচ্ছে।
Previous Story Jibjagat Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.