নদীবাঁধে ভাঙনের আশঙ্কায় দিন কাটছে বাসিন্দাদের। উলুবেড়িয়ার চেঙ্গাইলের চককাশীর কাছে হুগলি নদীর বাঁধের অবস্থা গত কয়েক বছর ধরে শোচনীয় হয়ে পড়েছে। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যে কোনও মুহূর্তে ভাঙতে পারে নদীবাঁধ। ফলে তাঁরা বিপন্ন হয়ে পড়বেন। তাঁদের অভিযোগ, বার বার সেচ দফতরকে বলা সত্ত্বেও বাঁধ মেরামতির দিকে নজর দেওয়া হয়নি। সেচ দফতর অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে, শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেচ দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বাঁধটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। শেষ সংস্কার হয়েছে ১৯৭৮ সালের বন্যার পরে। ওই বছর বন্যায় বাঁধটির বেশ ক্ষতি হয়। সেচ দফতর কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে মেরামতির কাজ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর পরে আর এক ঝুড়ি মাটিও ফেলেনি সেচ দফতর। তার ফলেই দিনের পর দিন জীর্ণ হয়েছে নদীবাঁধ। এটি ভেঙে গেলে চেঙ্গাইল এবং বাউড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে।
স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ দাস বলেন, “আমরা গত পাঁচ বছর ধরে সেচ দফতর-সহ বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়ে আসছি বাঁধটি যাতে মেরামত করা হয়। কিন্তু আমাদের আবেদনে কর্ণপাত করা হয়নি।” তাঁর আশঙ্কা, অবিলম্বে বাঁধটি মেরামত করা না-হলে বর্ষার সময়ে এটি ভেঙে পড়বে। একই বক্তব্য অন্যদেরও।
সেচ দফতরের অবশ্য দাবি, আয়লার পরে এক বার এই বাঁধ মেরামতির উদ্যোগ হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় সেই সময়ে কাজটি করা যায়নি। বাসিন্দারা পাল্টা জানান, কয়েকটি বাঁশ এবং মাটি দিয়ে সেচ দফতর নাম-কা-ওয়াস্তে মেরামতির চেষ্টা করেছিল। সেই কারণেই বাঁধ মেরামত করতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের দাবি, বোল্ডার এবং কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে পাকাপাকি ভাবে বাঁধ মেরামত করতে হবে।
সেচ দফতরের উলুবেড়িয়া মহকুমা আধিকারিক জয়ন্ত কোলে বলেন, “বাঁধটি পাকাপাকি ভাবে মেরামতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই ঠিকাদার চেয়ে টেন্ডার দেওয়া হবে।” বর্ষার আগেই কাজটি শেষ হয়ে যাবে বলেও দাবি জয়ন্তবাবুর। |