খড়িগেড়িয়ায় রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
রাস্তা, নলকূপ, বন্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা এমন নানা দাবি গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের। অবশেষে হাওড়ার জয়পুরের কাশমলি গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িগেড়িয়া গ্রামের উন্নয়নে এগিয়ে এল ব্লক প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে মাটির রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে গ্রামবাসীরা চেয়েছিলেন পিচের রাস্তা।
এলাকাটি আমতা ২ ব্লকের অধীনে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিগনান থেকে খড়িগেড়িয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে ওই প্রকল্পে। এ জন্য খরচ হবে ২০ লক্ষ টাকা। প্রথম পর্যায়ে খরচ হবে ৮ লক্ষ টাকা। তার পরেই শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ।
গ্রামটির সর্বত্রই অনুন্নয়নের চিহ্ন স্পষ্ট। ৮টি নলকূপের অধিকাংশই বিকল। বিদ্যুৎ নেই। বেগুনেঘাটা খালের বাঁধ ভেঙে প্রতি বছর প্লাবিত হয় গ্রাম। ফলে, চাষ করতে পারেন না গ্রামবাসীরা। নিজের জমি থাকতেও অনেকে দিনমজুরি করতে বাধ্য হন। গ্রামের সবচেয়ে বড় সমস্যা রাস্তার। রাস্তা না-থাকায় গ্রামবাসীরা বিপাকে পড়েন। বিশেষ করে প্রসূতিদের শহরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাঁদের ঘাম ছুটে যায়।
নিগনান গ্রাম যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার মাঠের উপর দিয়ে হেঁটে গেলে পড়ে খড়িগেড়িয়া। এক সময়ে মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা ছিল। কিন্তু সংস্কার এবং মেরামত না-হওয়ায় শেষ পর্যন্ত রাস্তাটি জমির আলের আকার নিয়েছে। বর্ষার সময়ে সেই আলও পুরোপুরি জলে ডুবে যায়। অন্যান্য এলাকা থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে খড়িগেড়িয়া। গ্রামে প্রায় ৫০০ পরিবারের বাস। ভোটারের সংখ্যা ১২৬৬ জন। দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় জেরবার গ্রামবাসীরা এ বার উন্নয়নের দাবিতে বিধানসভা ভোট বয়কট করেছিলেন। পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। নির্বাচনের পরেই রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও একটি বিকল নলকূপও মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিডিও পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “গ্রামবাসীদের রাস্তার দাবিটিই ছিল প্রধান। যাঁদের জব কার্ড রয়েছে তাঁরা রাস্তা তৈরির কাজ পাবেন। মেরামত করা হচ্ছে বিকল নলকূপও।” কিন্তু মাটির রাস্তার বিপক্ষে গ্রামবাসীদের যুক্তি, বন্যা পরিস্থিতি হলে রাস্তা ফের ধুয়ে যাবে। বিডিও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে পিচ ঢালা রাস্তা করা যায়। তবে এটা ব্লক প্রশাসনের আয়ত্তাধীন নয়। আমি এ ব্যাপারে উলুবেড়িয়ার সাংসদকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছি। জেলা পরিষদ ওই প্রকল্পে পিচের রাস্তা তৈরি করতে পারে। মাটির রাস্তাটি হলে তার উপরেই পিচের রাস্তা করা যায়।” গ্রামবাসীদের বাকি দাবির বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে চিঠি লেখা হয়েছে।
Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.