স্থানীয় পুকুর সংক্রান্ত বিবাদের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল চন্দননগর থানার হরিদ্রাডাঙা মদনমোহন কলোনিতে। মঙ্গলবার রাত্রি ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত্রে মদনমোহন কলোনির একটি পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক ক্লাবের সদস্যদের দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে এবং মারপিট শুরু হয়ে যায়। আতঙ্কিত বাসিন্দারা এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর চড়াও হয়। দু’পক্ষের মারপিট ছাড়াতে গেলে কিছু উত্তেজিত যুবক পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে গাড়ির দরজার কাচ ভেঙে দেয়। তাতেও ক্ষান্ত হয়নি তারা। চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং একজন এএসআই-সহ দুই কনস্টেবলকেও বেধড়ক পেটানো হয়। এরপর চন্দননগরের এসডিপিও অমিতাভ মাইতির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে এবং তাঁদের চন্দননগর মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। গুরুতর আহত হন চন্দননগর থানার কনস্টেবল বিমল মন্ডল এবং অমরেশ রায়। সারারাত এলাকায় পুলিশি টহল চলে। পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। |
স্থানিয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এই পুকুর নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটা চাপান-উতোর চলছিল দু’পক্ষের মধ্যে। এতদিন পর তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল। চন্দননগরের এস ডি পি ও অমিতাভ মাইতি জানান, “চন্দননগর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মদনমোহন কলোনির একটি ক্লাবের পুকুর নিয়ে বিবাদ চলছিল। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই তা চরমে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের মারধর করা হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুড় করে দেওয়া হয়। সাতজনকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলার মামলা করা হয়েছে।” |