এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিপিএমের আরামবাগ-৩ নম্বর লোকাল কমিটির সম্পাদক শ্যামাপদ চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সকালে তারকেশ্বর থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে চড়েন ওই প্রবীণ সিপিএম নেতা। একই কামরায় পরিচিত এক তৃণমূল কর্মীকে দেখে তিনি নেমে পড়েন। ওই তৃণমূল কর্মী দলীয় নেতা-কর্মীদের ও থানায় খবর দেন। প্ল্যাটফর্মেই শ্যামাপদবাবুকে ঘিরে ফেলেন তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেফতার করে।
গত ২২ মে আরামবাগের খালোড় গ্রামের বাসিন্দা মহেশ পণ্ডিত নামে ওই তৃণমূল কর্মীর ঝুলন্ত দেহ গ্রাম সংলগ্ন মাঠের একটি গাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আগের সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। শ্যামাপদবাবু-সহ ৩০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। এ দিন রঘু খাঁ নামে আরও এক সিপিএম সমর্থককে আরামবাগের কাপসিট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শ্যামাপদবাবুকে আরামবাগ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
আরামবাগের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিনয় দত্তের অভিযোগ, তৃণমূল চক্রান্ত করে শ্যামাপদবাবু ও দলীয় সমর্থককে ফাঁসিয়েছে। তিনি বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারে শ্যামাপদবাবু গত ১৩ মে থেকে ঘরছাড়া ছিলেন। দলের জোনাল অফিসে থাকছিলেন।” তাঁর আরও দাবি, “ওই এলাকায় সব সিপিএম কর্মীই এখন ঘরছাড়া।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আরামবাগের তৃণমূল নেতা সমীর ভাণ্ডারী বলেন, “পরাজয়ের পরেও সিপিএম খুন-জখম চালাচ্ছে। আমাদের নামে অপবাদ দিচ্ছে। শ্যামাপদবাবু এলাকায় নানা অপরাধে যুক্ত ছিলেন।” |