কামরূপের চারাবাড়িতে বরযাত্রী বোঝাই বাস দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। তিনবছরের প্রেমিক নবকুমার শর্মাকে বিয়ের রাতে হারিয়ে শয্যা নিয়েছেন টিহুর গীতুমণি দেবী। সোমবার রাত সাড়ে এগারোটায় মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা ঘটার দু’ ঘণ্টা আগেও হবু বরের সঙ্গে ফোনে শেষ কথা হয় গীতুমণির। কাল নববধূর সজ্জায় শেষ বার নবকুমারকে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। পরিবারের অনুমতি মেলেনি।
বর-সহ ২৮ জনের এ ভাবে মৃত্যু মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না কনের বাড়ি পাঠশালা এলাকার মানুষ। অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদের ডাকে আজ এলাকায় সর্বাত্মক বন্ধ পালিত হয়। এলাকার মানুষের আক্ষেপ, পুলিশের আপত্তিতে উদ্ধারকার্য শুরু করতে অন্তত ৪০ মিনিট দেরি হয়। নব হালোই ও টগর হালোই নামে স্থানীয় দুই যুবক এএসপির কাছ থেকে জোর করে অনুমতি আদায় করে জলে নামেন। নব ও টগরবাবুর ক্ষোভ, “অনেক দেরিতে জলে নেমেছি আমরা। পুলিশ গ্রামবাসীদের প্রথমেই জলে নামার অনুমতি দিলে, হয় তো আরও কয়েকজনকে বাঁচানো যেত।” কার্যত, উদ্ধার হওয়া ২৮টি মৃতদেহের মধ্যে মাত্র চারটি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিরা উদ্ধার করেছেন। বাকিগুলি, নব ও টগরবাবুই টেনে তোলেন।
ওই দুই যুবকের ভূমিকায় মুগ্ধ কামরূপ প্রশাসন তাঁদের পুরস্কৃত করার কথা ভাবছে। এর আগেও ২০০৪ সালে একই সেতু ভেঙে একটি বাস জলে পড়ে গেলে ১৩ জন মারা যান। সে বারেও এই দুই যুবকই জলে নেমে উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছিলেন। |