|
|
|
|
দুর্নীতিতে মারানের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে সিবিআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²নয়াদিল্লি |
এ রাজা, কানিমোঝির পর এ বার খাদের কিনারায় আর এক ডিএমকে মন্ত্রী দয়ানিধি মারান।
সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার দায়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী দয়ানিধির বিরুদ্ধেও তারা আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারে। বস্তুত তার অপেক্ষাতেই রয়েছে তামাম বিরোধী দলও। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে মারানের অপসারণের দাবিতে আরও আগ্রাসী হবেন বাম ও বিজেপি নেতারা। তাতে অস্বস্তি বাড়বে কেন্দ্র তথা কংগ্রেস নেতৃত্বের।
সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জি শিবশঙ্করন নামে এয়ারসেল সংস্থার এক বিনিয়োগকারী তাঁদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, অংশীদারি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তৎকালীন টেলিকম মন্ত্রী দয়ানিধি মারান তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। আগামী সপ্তাহে শিবশঙ্করনের জবানবন্দি রেকর্ড করতে চলেছে সিবিআই। সেই সঙ্গে তাঁকে জেরা করে জানতে চাওয়া হবে, কী ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছিলেন দয়ানিধি? সিবিআই সূত্রে বলা হচ্ছে, শিবশঙ্করনের পরে তাঁরা মন্ত্রী দয়ানিধি এবং এয়ারসেল তথা ম্যাক্সিস সংস্থার প্রমোটার অনাথ কৃষ্ণনকেও জেরা করতে পারেন।
এ দিকে আজই মন্ত্রিসভা থেকে দয়ানিধির ইস্তফা দাবি করেছেন জয়ললিতা। তাঁর কথায়, “আমার বিশ্বাস এ ক্ষেত্রে কী করণীয় তা প্রধানমন্ত্রীর কাছেও স্পষ্ট এবং তিনি সেটাই করবেন। তিনি ইতিমধ্যেই দয়ানিধিকে ইস্তফা দিতে বলেছেন, এমনও হতে পারে।” দয়ানিধির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণও আজ সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছেন। |
|
চাপের মুখে মারানও আজ মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, “আমার আমলে টেলিকম মন্ত্রকে কোনও দুর্নীতি হয়নি। সিএজি রিপোর্টেও তেমন কোনও অভিযোগ করা হয়নি। এটা ঠিকই যে ম্যাক্সিস সংস্থা সান টিভিতে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু সেটা টেলিকম লাইসেন্স পাওয়ার অনেক পরে।” এই বিবৃতি দেওয়ার আগে আজ তিনি টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বলের সঙ্গে দেখা করেন। টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়েই তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে কৌশলগত ভাবে গোটা বিষয় থেকে দূরত্বই রাখতে চাইছে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় |
|
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম আজ এ প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, “সর্বোচ্চ আদালতের প্রত্যক্ষ নজরদারিতে স্পেকট্রাম বণ্টনের মামলাটি তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। যৌথ সংসদীয় কমিটিও গত দশ বছরের টেলিকম নীতি খতিয়ে দেখছে। কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে তা এই দুই তদন্তের নজর এড়িয়ে যাবে না।” তবে ঘরোয়া মহলে কংগ্রেস নেতারাও স্বীকার করে নিচ্ছেন, এর পর দয়ানিধির বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ হলে এবং তিনি গ্রেফতার হলে অস্বস্তির অন্ত থাকবে না। দুর্নীতি প্রশ্নে সরকারের ভাবমূর্তিতে যে আঁচ পড়েছে, তার ক্ষত মেটাতে কংগ্রেস যতটুকু এগিয়েছে, তা-ও ধাক্কা খাবে।
সংশয় নেই চার্জশিটের অপেক্ষাতেই রয়েছে কেন্দ্রে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকলে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি দুর্বল হতে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে বিজেপি-র লক্ষ্য হবে বিকল্প হিসাবে নিজেদের তুলে ধরা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রচার চালিয়ে যাওয়া। এ ব্যাপারে এখন বিজেপিকে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন বামেরাও। কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে পর্যুদস্ত হওয়ার পর প্রকাশ কারাটরা এখন কেন্দ্র তথা কংগ্রেস-বিরোধী প্রচার জোরদার করতে চাইছেন। কারাট আজও বলেছেন, “মারানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা গুরুতর। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এখনই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী তা করবেনও।” |
|
|
|
|
|