কোশী নদীর গতিপথ যাতে ঠিকঠাক থাকে এবং নতুন করে কোনও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি না হয়, এখনই তা নিশ্চিত করতে চান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই বিষয়ে নেপাল সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার অনুরোধ জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রী এস এম কৃষ্ণকে আজই একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। চিঠিতে নীতীশ জানিয়েছেন, এ বছর কোশী হঠাৎই তার নির্দিষ্ট খাতের পূর্ব দিক ঘেঁষে বইতে শুরু করেছে। এর ফলে পূর্ব দিকের বাঁধের উপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ষায় কোশীর জল আরও বাড়বে। এই অবস্থায় এখনই এই চাপ সরানোর ব্যবস্থা না করলে কোশীর পূর্ব অববাহিকায় ফের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে নীতীশের আশঙ্কা।
২০০৮ সালে কোশী এ ভাবেই তার গতিপথ ছেড়ে নয়া খাতে বইতে শুরু করেছিল। তার ফলেই বিহারে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সেই বন্যাকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ আখ্যা দিয়েছিলেন। বন্যা-পরবর্তী সময়ে নতুন করে নেপালের কুশাহা থেকে কোশীর দু’পাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ যৌথ ভাবে করেছিল বিহার এবং কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশ মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে নীতীশ জানিয়েছেন: সেই সময়েই ঠিক হয়েছিল, কোশীর প্রবাহ ঠিক মাঝ বরাবর রাখতে একটি ‘পাইলট চ্যানেল’ তৈরি করা হবে। নেপাল ও ভারতের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি কোশী হাই লেভেল কমিটিও তাই সুপারিশ করেছিল। কিন্তু নীতীশের অভিযোগ, বাস্তবে নেপাল সরকার কিন্তু ওই পাইলট চ্যানেল তৈরিই করতে দেয়নি। এর ফলে ক্রমশই কোশীর স্রোত পূর্ব দিকের নদীবাঁধের উপরে চাপ বাড়াচ্ছে। |