শহরে পার্কিং লট বাড়ানোর যে পুর-প্রস্তাব খারিজ হয়েছিল মাস ছয়েক আগে, পার্কিং সমস্যা মেটাতে সেই প্রস্তাবই ফের পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিল পুলিশ। বুধবার পুরসভার পার্কিং বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা। পুলিশের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে পার্কিং লট বৃদ্ধির প্রাথমিক কাজ এ দিনই শুরু হয়েছে।
মাস ছয়েক আগে শহরে ৬৮টি নতুন পার্কিং লটের আবেদন করে পুরসভা। তার মধ্যে ৩৬টি প্রস্তাব খারিজ করে দেয় পুলিশ। এ দিন পুর ভবনে ডিসি (ট্রাফিক) দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ট্রাফিক পুলিশের পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে শহরে কমপক্ষে ৪০টি লট বাড়ানোর প্রস্তাব করেন পুরকর্তারা। পুলিশের তরফে প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস মেলে। পাশাপাশি, বৈঠকে ঠিক হয়েছে অবৈধ পার্কিং রোধে পুরসভা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালাবে।
পুর-পার্কিং কর্তারা জানান, গত বাম বোর্ডের আমলে পার্কিং ফি-আদায়ের দায়িত্বে ছিল সমবায় সমিতি। পরবর্তীকালে পুরসভার খাতায় নথিভুক্ত সাতটি সমিতির খোঁজ নেই। কোষাগারে জমা পড়েনি পার্কিং ফি আদায়ের প্রায় ১ কোটি টাকা। ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ (পার্কিং) রাজীব দেব এ দিন বলেন, “বাম বোর্ডের আমলে পার্কিং ব্যবস্থা সমবায়কে দেওয়ার আর্থিক খেসারত দিচ্ছে বর্তমান বোর্ড। সমবায়ের নামে পুর-অথর্র্ নয়ছয় হয়েছে। তাই টেন্ডার ডেকে পার্কিং লট পরিচালনার ভার দেওয়া হবে।”
পার্কিং ব্যবস্থায় সমবায়ের অস্তিত্ব অবশ্য এখনও বিলুপ্ত হয়নি। পুরসভা নিয়ন্ত্রিত পার্কিংয়ে ২৯টি সমবায় কাজ করছে। রাজীববাবু জানান, সমবায় তুলে দেওয়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার ডেকে ৯ জনকে পার্কিং লটের ভার দেওয়া হয়েছে। পুর-পার্কিং আধিকারিকেরা জানান, এখন শহরে পুর-নিয়ন্ত্রিত ৩৪৯টি লটে ৭৯৪১টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে ২৯০টি গাড়ির বিশেষ পার্কিং ব্যবস্থা। |