এ দিকে, কলেজ সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরেই হস্টেলের মেয়েরা কলের জলে হাত দিলে বিদ্যুতের মতো চিনচিনে একটা অনুভূতি পাচ্ছেন বলে জানাচ্ছিলেন। এক দিন আগে এক জন ইলেকট্রিশিয়ান এসে জল পরীক্ষা করেও দেখেন। তবে জয়শ্রীদেবীর কোয়ার্টার্সের জল তিনি পরীক্ষা করেননি বলে জানা গিয়েছে। হস্টেলের আবাসিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী দীপ্তি দাস বলেন, “জল থেকে শক লাগার কথা জয়শ্রীদিকে জানিয়েছিলাম।” কলেজের অধ্যক্ষা সুনন্দা চট্টোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, জয়শ্রীদেবী তাঁদের এই বিষয়ে কিছু জানাননি।
হস্টেলের কোয়ার্টার্সে ছেলে হিমাদ্রিশখর চৌধুরীকে নিয়ে থাকতেন জয়শ্রীদেবী। হিমাদ্রি পর্যটন নিয়ে পড়াশোনা করেন। এ দিন তাঁর পরীক্ষা ছিল, ফলে মোবাইল বন্ধ করে রেখেছিলেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে মায়ের মৃত্যুর খবর পান। জয়শ্রীদেবীর ভাইপো অলক বিশ্বাস ও হিমাদ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিষয়টি তুলেছেন। অলকবাবুর বক্তব্য, “ছাত্রীরা অভিযোগ জানানোর পরেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন ছিলেন। কোনও ছাত্রী যদি এ ভাবে মারা যেতেন তা হলে পিসির দোষ হত। এখন আমরা কেন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করব না?” |