১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তারক চক্রবর্তী বলেন, “আমরা ওই পার্টি অফিস তৈরিতে আপত্তি করেছিলাম। তবে এমন অনেক ছেলে পার্টিতে এসে জুটেছে, যারা এই আপত্তি মানেনি।” ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় দাস বলেন, “সিপিএমের ছত্রছায়ায় অনেক দিন ধরেই খালের ধার দখল হচ্ছে। প্রয়োজন হলে তৃণমূলের ওই পার্টি অফিস তুলে দেওয়া হবে।” খালের অপর ধারে নিকাশির যে কাজ হচ্ছে, তার মাটি-বর্জ্য খালে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সঞ্জয়বাবু। তিনি বলেন, “এ সবের জন্যও খাল বুজে যাচ্ছে। পুরসভা এবং সেচ দফতরকে লিখিত ভাবে এই সমস্যার কথা জানিয়েছি।”
কেইআইপি-র প্রকল্প অধিকর্তা সুসিত বিশ্বাস বলেন, “ওই অংশের খাল সংস্কার করতে হলে অনিচ্ছুক দখলদারদের উপর বলপ্রয়োগ করতে হত। তা সম্ভব হয়নি।” কেইআইপি-র ডিজি সৌম্য গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যে ক’টি পরিবারকে সম্ভব, সরানো হয়েছিল। এর পরে ভোট এসে যাওয়ায় খালের ধার ফাঁকা করা যায়নি।” আর এক প্রকল্প অধিকর্তা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি ফ্ল্যাট নিয়েছে এমন অনেক পরিবার খালের ধারে পুরনো জায়গায় রয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে ফের সমীক্ষা করব।”
মঙ্গলবার বেহালার খাল পরিদর্শনে যান মেয়র। মহাকরণে তিনি বলেন, “পঞ্চান্নগ্রাম খাল সংস্কারেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে রাজনীতির রং দেখা হবে না।”
এ দিকে, রাজারহাট- গোপালপুর বিধানসভা এলাকায় মালিকের অনুমতি ছাড়াই তাঁর জমিতে পার্টি অফিস তৈরির চেষ্টা করেছিলেন একদল তৃণমূল কর্মী। ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাইন বোর্ড। স্বয়ং শ্রমমন্ত্রীর এলাকাতেই দু’দিন আগে ঘটেছিল এই ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে ওই জমির মালিক সঞ্জয় সাহা এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর সঙ্গে সরাসরি দেখা করে ঘটনার কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রী দলের অন্যান্য কর্মীদের নির্দেশ দেন ওই সাইন বোর্ড খুলে দিতে। মন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে শেষ পর্যন্ত এ দিন দুপুরে জমির মালিক সঞ্জয় সাহা নিজেই ওই সাইন বোর্ড খুলে দেন বিধা বাধায়।
রাজারহাট- গোপালপুর বিধানসভা এলাকার একটি ছোট জায়গা সাহাপাড়া। শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দুবাবু সেখানকারই বিধায়ক। তিনি বলেন, “মালিকের অনুমতি না নিয়ে কোনও জমিতেই কিছু করা যাবে না। এটা আমাদের দীর্ঘদিনের কর্মসূচি। তাতে পার্টি অফিস যদি না হয় না হবে।”
সঞ্জয়বাবু বলেন, “মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করায় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে এ বার পার্টি অফিসের বদলে পার্ক কিংবা মন্দির তৈরি করা হবে ওই জমির উপরে। জানি না শেষ পর্যন্ত ওই জমি ধরে রাখতে পারব কি না।” এ দিন সকালেই বিধায়কের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে জমির মালিকানার কাগজপত্র দেখান সঞ্জয়বাবু। |