|
|
|
|
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ দুবরাজপুরে |
হামলায় অভিযুক্ত সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²বোলপুর ও দুবরাজপুর |
তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে। বুধবার এই মর্মে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই তৃণমূল কর্মী বিমল টুডু। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বোলপুর থানার রাইপুর-সুপুর পঞ্চায়েতের কাঁকুটিয়া গ্রামে। বিমলবাবুর অভিযোগ, “সিপিএমের কিছু দুষ্কৃতী বোমা নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়।” ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বুধবার ওই গ্রামে মিছিল করেন এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। তৃণমূলের রাইপুর-সুপুর অঞ্চল সম্পাদক সুবোধ পালের অভিযোগ, “মঙ্গলবার রাতে অশান্তি ছড়াতে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য লেটে সরেনের নেতৃত্বে সিপিএমের সমাজবিরোধীরা কাঁকুটিয়া বড়বাগান-আদিবাসীপাড়ায় হানা দেয়।” তাঁর দাবি, “পুলিশ ও গ্রামবাসীরা চলে আসায় দুষ্কৃতীরা বোমা রাখা একটি থলে এবং একটি বাইক ফেলে পালায়।” সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক উৎপল রুদ্র বলেন, “জরুরি বৈঠকে বাইরে আছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” বোলপুরের এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, “তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। বাইকটি উদ্ধার করা হয়েছে। সেটির মালিকের খোঁজ চলছে।” অন্য দিকে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বুধবার জখম হলেন চারজন। তাদের দুবরাজপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিন রাত আটটা নাগাদ পদুমা পঞ্চায়েতের খন্ডগ্রামে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা নিরঞ্জন ঘোষ এ দিন বিভিন্ন গ্রামের জনা কুড়ি সমর্থককে নিয়ে ওই গ্রামে একটি বৈঠক করছিলেন। সেই সময়, তৃণমূলেরই অপর একটি গোষ্ঠী তাদের আক্রমণ করে। বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে তারা আমাদেরই দলের লোক। কেন এ ঘটনা ঘটল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।” |
|
|
|
|
|