২০ জন অস্থায়ী কর্মীকে কাজে পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে স্মারকলিপি দিল হাসপাতালের অস্থায়ী শ্রমিক কংগ্রেস কর্মচারী কমিটি। আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকার স্বীকৃত চতুর্থ শ্রেণির পদ ১২০টি। বর্তমানে ৬০ জন ওই পদে কাজ করছেন। দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির পদে লোক নিয়োগ করা হয়নি। অথচ হাসপাতালের পরিষেবার চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি ঘটছে। অস্থায়ী ভাবে ২০ জন বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ করছিলেন। তাঁদের দৈনিক মজুরি দেওয়া হত। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাজ থেকে সরিয়ে দেন। তাঁদের কাজে পুনর্বহালের বিষয়টি চিন্তাভাবনা করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রী বলেন, “ওই সমস্ত কর্মীদের রোগীকল্যাণ সমিতি ও হাসপাতালের উন্নয়ন মূলক তহবিল থেকে টাকা দেওয়া হত। বর্তমানে ওই দু’টি ফান্ডের অবস্থা খারাপ। তাই বাধ্য হয়ে তাঁদের আপাতত সরানো হয়েছে। ভবিষ্যতে লোক নিয়োগ করা হলে তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করা হবে।”
|
টাইম কল থাকলেও জলের সমস্যা মিটছে না বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, অধিকাংশ কলেই জল পড়ে খুব ধীরগতিতে। আবার, অনেক সময় সময়ে জল আসেও না। কোনও কল খারাপ হয়ে গেলে তা সারাতে লেগে যায় বহু দিন। এই অবস্থা দুবরাজপুরের পছিয়াড়া গ্রামের খাঁ সাহেব পাড়া, ডাক্তারপাড়া, বাউরিপাড়া-সহ একাধিক পাড়ায়। বাসিন্দারা জানান, জল সমস্যা মেটাতে ‘টাইম কলে’র পরিষেবা চালু হলেও তা পুরোপুরি সফল হয়নি। তাঁদের দাবি, জল আসার নির্দিষ্ট সময়ের বহু আগে লাইন দিলেও পাত্র ভর্ত্তি হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যায় জল পড়া। তাই আগে জল নেওয়া নিয়ে প্রায়ই বচসায় জড়িয়ে পড়েন এলাকাবাসী। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে স্থানীয় যশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান এবং জল সরবরাহের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মীকে বলেও লাভ হয়নি। পানীয় জলের সরবরাহে সমস্যা আছে মেনে নিয়েও যশপুর পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান নাথুরাম ডোম বলেন, “এলাকাবাসীর অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কর্মীদের বলে সমস্যা মেটানোর সাধ্যমতো চেষ্টা করা হবে।”
|
দুবরাজপুর-কুরমিঠা, সিউড়ি-ইলামবাজার ভায়া যাত্রা রুটের যে বাসগুলি চলে, সেগুলি বড়গুনসীমা গ্রামের উপর দিয়ে যায়। দুবরাজপুর ব্লকের সাহাপুর পঞ্চায়েতের বড়গুনসীমা গ্রামে বাস ধরতে আসেন আশপাশের ৮-১০টি গ্রামের মানুষ। কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টিতে দীর্ঘক্ষণ বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি, ওখানে একটি যাত্রীপ্রতীক্ষালয় হোক। এ ব্যাপারে বহুবার পঞ্চায়েতে জানানো হয়েছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। সাহাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান পিডিসিআই-এর বিভা কৈবর্ত্য বলেন, “বিষয়টি পঞ্চায়েতের নজরে আছে।”
|
সোনা-রূপোর দোকানে ডাকাতির ঘটনার তদন্ত শুরু করল পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইলামবাজারের হাটতলা বাজারের একটি সোনা-রূপোর দোকানে ডাকাতি করে ছ’সাত জনের একটি দল। দোকানের মালিক নবগোপাল নন্দীকে মারধরও করে তারা। নবগোপালবাবুর দাবি, ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক। সন্ধ্যেবেলা বাজারের মধ্যে এই ভাবে ডাকাতি হওয়ায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বোলপুরের এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। দোকানদারদের বিবরণ অনুযায়ী দু’জনকে জিজ্ঞাসাববাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” |