তরাই-ডুয়ার্স নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চায় পরিষদ
ডুয়ার্সের চা বলয় থেকে ক্রীড়া প্রতিভা তুলে আনতে অ্যাকাডেমি গঠনের চিন্তাভাবনা শুরু হল রাজ্য ক্রীড়া দফতর। খোদ রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্র এ কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার টেলিফোনে রাজ্যের নয়া ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “জঙ্গলমহল থেকে ডুয়ার্স, এমনকী পাহাড় থেকে ক্রীড়া প্রতিভা তুলে আনতে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। ডুয়ার্সে কোনও স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গঠন করা যায় কি না তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।” এই ব্যাপারে খুব শীঘ্র তিনি ডুয়ার্সে গিয়ে স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া সমিতি এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে জানান মদনবাবু। একটা সময়ে উত্তরবঙ্গের বহু ছেলেমেয়ে কলকাতায় নানা ধরনের খেলাধুলায় অংশ নিতেন। এখনও অ্যাথলেটিকস-সহ নানা খেলাধুলায় উত্তরবঙ্গের ছেলেমেয়েদের দেখা যায় বটে, কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছেন চা বাগানের ছেলেমেয়েরা। দারিদ্রের কারণেই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ আদিবাসী বিকাশ পরিষদের। তাঁদের বক্তব্য, একজন শ্রমিক রোজ পাতা তুলে বড়জোর ৬৭ টাকা মজুরি পান। সেখানে ওই টাকায় সংসার চালানোর পরে পরিবারের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার উৎসাহ দিতে পুষ্টিকর খাবারের জোগান দেওয়া কঠিন কাজ। আর এই কারণেই চা বাগানের বহু ক্রীড়া প্রতিভা অকালে ধরে পড়ছে। প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনার পলা শেষ করেই সংসারের আয় বাড়াতে নেমে পড়তে হচ্ছে ছেলেমেয়েদের। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, “কোনও প্রতিভা যাতে এ বার থেকে নষ্ট না-হয় সেটাই দেখা হবে।” ক্রীড়ামন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সভাপতি বীরসা তিরকি। তিনি বলেন, “আমাদের চা বাগানে এত ভাল খেলোয়াড় রয়েছে যে ভাবা যায় না। রাজ্য এবং আন্তর্জাতিক স্তরে খেলাধুলার করার মতো বহু প্রতিভা রয়েছে। সুযোগের অভাবে অনেকেই খেলাধুলা ছেড়ে সংসারের হাল ধরেছে। কেউই এই সমস্ত ছেলেমেয়েদের নিয়ে চিন্তাভাবনা করেনি। বর্তমান সরকার চেয়ারে বসেই যে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে ভাবছে এটা ভাল কথা।” পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংগঠনের তরাই ডুয়ার্স আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি জন বার্লাও এক সময়ে ভাল ফুটবল খেলতেন। ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাঁর ডাক পড়ত। তবে তাঁর খেলা সীমাবদ্ধ ছিল শিলিগুড়ি পর্যন্ত। তাঁর সময়ে এমন খেলা পাগল অনেকে ছিলেন। কিন্তু ক্রীড়া দফতরকে এই সমস্ত প্রতিভা তুলে আনার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। কাঞ্চলজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে স্পোর্ট অথরিটির (সাই) কেন্দ্র থাকলেও ডুয়ার্সের চা বাগান এলাকার ছেলেমেয়ে রয়েছে হাতেগোনা। পরিষদের পক্ষ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মতোই ডুয়ার্সে সাইয়ের একটি কেন্দ্র তৈরির দাবি তোলা হয়েছে। ডুয়ার্সে একটি স্টেডিয়াম তৈরির দাবিও তোলা হয়েছে সেখানে নানা ধরনের খেলাধুলার প্রশিক্ষণ হতে পারে। মদনবাবু বলেন, “প্রতিভা নষ্ট হতে দেব না। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হালও সরেজমিনে দেখব।”
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad|Medinipur
National | Bidesh| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.