|
|
|
|
হুমকিতে পদত্যাগ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বাম বিরোধী শিক্ষক সমিতির হুমকিতে শিলিগুড়ি মহকুমা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিশ্বজিৎ ভৌমিক। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ তিনি দফতরে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে যান। সোমবার শিলিগুড়ি মহকুমা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি বিশ্বজিৎবাবুর পদত্যাগ দাবি করে। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “কে, কোথায় পদত্যাগ দাবি করেছেন, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ালাম।” এর আগে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান নীলাংশুশেখর দাস কলকাতায় স্কুল শিক্ষা সংসদের দফতরে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন। সংসদের নতুন কমিটির নির্বাচন তার আগেই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বোর্ড গঠন হয়নি। ফের নির্বাচন হবে, না কি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে বোর্ড গঠন করা হবে তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার মালদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র পরিষদ এবং যুব কংগ্রেসের কর্মীরা। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চেয়ারম্যান ইস্তফা না-দিলে তাঁকে অফিস থেকে বার করে দেওয়া হবে বলে ওই দুটি সংগঠনের তরফে হুমকি দেওয়া হয়। বিক্ষোভের সময়ে অবশ্য মালদহের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম দফতরে ছিলেন না। পরে ঘটনাটি জেনে তিনি বলেন, “আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই মালদহে ফিরে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেব।” এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ ছাত্র পরিষদ, যুব কংগ্রেসের শতাধিক কর্মী, সমথর্ক চেয়ারম্যান পদত্যাগের দাবি জানিয়ে অফিসে ঢোকেন। দেড় ঘণ্টা ঘেরাও বিক্ষোভ চললেও পুলিশ আসেনি। ছাত্র পরিষদের ইংরেজ বাজার শহর কমিটির সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “সরকারের পরিবর্তনের পরেই বিভিন্ন জেলার সংসদের চেয়ারম্যান এবং মনোনীত পদাধিকারীরা পদত্যাগ করছেন। অথচ মালদহের সংসদের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেননি। তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।” জেলা যুব কংগ্রেস নেতা ধীমান সরকার বলেন, “আমরা ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছি। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করলে আমরা ওঁকে দফতর থেকে বার করে দেব।” দুই সংগঠনের অভিযোগ, ৭-৮ মাস প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে। অথচ আজ অবধি রেজাল্ট বার হয়নি। প্রার্থী তালিকায় কারচুপি করে শিক্ষক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যান পদত্যাগ করছেন না। জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগের জেরে পূর্বতন চেয়ারম্যানের অপসারণ করা হয়। তার জায়গায় চেয়ারম্যান হন নীলাংশুশেখরবাবু। তিনিও ইস্তফা দিয়েছেন। সংসদের নতুন সদস্য নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে বিধানসভা নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনের পরে জেলার অনেক নতুন বিধায়ক এসেছেন। সংসদে ফের বিধায়ক প্রতিনিধি নির্বাচন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত কর অভিযোগ করেন, “পূর্বতন রাজ্য সরকার সংসদের নির্বাচনের তিন মাস পরেও গেজেট নির্দেশ প্রকাশ করতে পারেননি। নতুন বোর্ড গঠন করা হয়নি। সেই কারণে গত বছর যে নির্বাচন হয় তাঁর আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।” নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক বীরেশ শিকদার বলেন, “নতুন বোর্ড কাজ শুরু করতে না পারায় জেলার প্রাথমিক শিক্ষার প্রশাসনিক বিপর্যয় ঘটেছে। আমরা চাই এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। রাজ্য যে সিদ্ধান্ত নিক না কেন, তা যেন জেলার স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়।” |
|
|
|
|
|