পরিবর্তনে পাল্টায়নি শিকারপুরের সমস্যা

ঞ্চায়েত পাল্টেছে। বিধায়ক পাল্টেছে। কিন্তু বাসিন্দাদের যে সমস্যা ছিল, সেই সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। বহু দাবি ও আন্দোলনের পরেও জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর অঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে কেউ তেমনভাবে উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গোটা শিকারপুর অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সদ্য বিধানসভা ভোটের আগে প্রচারে গিয়ে প্রায় সব দলেরই নেতারা ক্ষমতায় আসলেও সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে প্রথম কাজ হিসাবে অগ্রাধিকার ও গুরুত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। যেমনটি প্রতি বছরে নেতারা দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজগঞ্জে সিপিএমের একাধিক বিধায়ক পাল্টেছে। জেলায় সাংসদ পাল্টেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ।
খোদ শিকারপুর এলাকারই বাসিন্দা তৃণমূলের খগেশ্বর রায়। গতবার উপনির্বাচনে খগেশ্বরবাবু জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েও তিনিও তাঁর এলাকার পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে কোনও উদ্যোগী হননি বলে অভিযোগ। এবারও তিনি বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন। এবার তিনি এলাকার এই সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন বলে আশা করছেন বাসিন্দারা। এ প্রসঙ্গে রাজগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়ক খগেশ্বরবাবু বলেন, “আমরা আমাদের সীমিত ক্ষমতায় তুলনামূলকভাবে রাজগঞ্জে অনেক কাজ করেছি। সেই তুলনায় বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকে সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য কাজ করেনি। এবার রাজ্যে সরকার বদল হয়েছে। আমাদের সরকার মা-মাটি-মানুষের সরকার। পানীয় জলের সমস্যা শুধু আমার শিকারপুর এলাকাতেই নয়। রাজগঞ্জের বহু পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা ছাড়া আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। আমরা এবার সেই কাজগুলি করব।”

শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের সম্পাদক নারায়ণ বসাক বলেন, “আমাদের সরকারের আমলেই ২৫ বছর আগেই শিকারপুরে পানীয় জলের ব্যবস্থা গড়ে ওঠেছিল। বেলাকোবায় বিবেকানন্দ পল্লিতে ওই পানীয় জলের প্রকল্প থেকে শিকারপুরের গোটা এলাকায় পাইপলাইন বসিয়ে পরিষেবার ব্যবস্থাও হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি ক্রটির জন্য শিকারপুর এলাকার মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। রাস্তার ধারে ধারে যে ট্যাপ কলগুলি বসানো হয়েছিল। সেগুলিও দেখভালের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবারও আমাদের এলাকা থেকে খগেশ্বরবাবু বিধায়ক হয়েছেন। আমরা আশা করব, এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর ব্যাপারে খগেশ্বরবাবু উদ্যোগী হবেন।” একই মন্তব্য করেন শিকারপুর অঞ্চলের কংগ্রেস নেতা তপন রায়ও। রাজগঞ্জের বিডিও সুতীর্থ দাস বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বাসিন্দাদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, “প্রতি বছরে শিকারপুরে জলের সঙ্কট দেখা দেয়। সরকারিভাবে শিকারপুরের কোথাও সেভাবে গভীর নলকূপের ব্যবস্থা নেই। পাশে তিস্তা ক্যানেলে জল ছাড়া হলে শুধু ওই সময়টুকুতে কুয়োগুলিতে জল থাকে। সেই জল খাওয়ার যোগ্য নয়। বাধ্য হয়ে সেই দুষিত জলেই আমাদের খেতে হচ্ছে।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে জানানো হয়েছে, শিকারপুর অঞ্চলের একমাত্র বেলাকোবা সংসদ এলাকার বাসিন্দারা বিবেকানন্দ পল্লি জলপ্রকল্প থেকে পানীয় জলের পরিষেবা পান।
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad|Medinipur
National | Bidesh| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.