টুকরো খবর
 
ঝড়ে ক্ষতি, মৃত এক
²

আগুনে ভস্মীভূত হল দুটি বাড়ি। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ ঝড় ওঠায় দুটি বিদ্যুৎবাহী তার ঘষা লেগে শর্ট সার্কিট হয়। সেখানে থেকে দুটি খড়ের চালের বাড়িতে আগুন লাগে। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার বেলসুলিয়া পঞ্চায়েতের আধকাটা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শম্ভুনাথ হাঁসদা ও নিমাই হাঁসদা নামে দুই ভাইয়ের ঘর পুড়ে গিয়েছে। ঘরের ভিতরে থাকা ধান, চাল, পোশাক পুড়ে যাওয়ায় নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছে দুটি পরিবার। তবে, কেউ জখম হননি। ঘটনার খবর পেয়ে বিষ্ণুপুরের বিডিও সুদীপ্ত সাঁতরা দমকল কেন্দ্রে খবর দেন। দমকল পৌঁছানোর আগেই বাসিন্দারা আগুন আয়ত্তে আনে। বিডিও বলেন, “এদিনই ওই দুই পরিবারকে ত্রিপল সহ ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।” অন্য দিকে, ঝড়ে আম কুড়োতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শুকলাল টুডু (২৮)। ছাতনা থানার তুলসা গ্রামে তাঁর বাড়ি। মঙ্গলবার বিকেলের ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।


জলের দাবিতে বিক্ষোভ
²

পানীয় জলের দাবিতে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন পুঞ্চা থানার বারমেশিয়া গ্রামের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার দুপুরে মানবাজার ব্লক অফিসে গ্রামের প্রায় ১০০ জন বাসিন্দা জড়ো হন। বাসিন্দাদের দাবি, “গ্রামে প্রায় দু’হাজার লোক বসবাস করেন। কিন্তু প্রয়োজন অনুপাতে জলের সংস্থান নেই। গ্রামের একমাত্র পুকুরটি মাসখানেক আগেই শুকিয়ে গিয়েছে।” তাঁদের অভিযোগ, “গ্রামে তিনটি নলকূপের মধ্যে বাউরিপাড়া ও স্কুলের নলকূপ দু’টি প্রায় সবসময়ই খারাপ থাকে।” বারমেশিয়া প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তিরঞ্জন পাল বলেন, “স্কুলের নলকূপে ১০ মিনিট ধরে পাম্প করলে এক বালতি জল ওঠে। তাও সেটা পানের অযোগ্য। লাগোয়া এক বাড়ির কুয়ো থেকে জল তুলে মিড-ডে মিলের রান্নার কাজ চালাই। সেই কুয়ো শুকিয়ে যাওয়াতে সমস্যায় পড়েছি। বিডিওকে এ বিষয়ে জানিয়েছি।” বাসিন্দারা বলেন, “গ্রামে কেবল ভৈরব মন্দিরের কাছের নলকূপটি সচল। সেটির জলে গোটা গ্রামের বাসিন্দারা নির্ভরশীল। বহুবার পঞ্চায়েতে ও ব্লক অফিসে অভিযোগ জানিয়েও সমস্যা মেটেনি। তাই বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছি।” মানবাজারের বিডিও কমলচন্দ্র দে বলেন, “বৃষ্টি না হওয়াতে চলতি বছরে জলের স্তর অনেক নেমে গিয়েছে। বাসিন্দারা তাঁদের সমস্যা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সমস্যা মেটাতে ব্যবস্থা নেবো।”

 

মার্কশিট আনতে গিয়ে নিখোঁজ পুরুলিয়ার ছাত্র
²

মাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট আনতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছে এক স্কুল পড়ুয়া। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের নাম আনন্দ নন্দী। বাড়ি পুরুলিয়া শহরের সরকারপাড়া এলাকায়। তার পরিজনেরা জানান, গত শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিনে সে মার্কশিট আনতে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি সে। আনন্দ’র দিদি ঝুমা নন্দী বলেন, “ভাই শুক্রবার সকালে রেজাল্ট আনতে স্কুলে গিয়েছিল।

আমি রেজাল্ট দেখেই ফোন করে জানাতে বলেছিলাম। সারাদিনেও ভাই না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করি।” পুরুলিয়া শহরের এম এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল আনন্দ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁরা জানতে পারেন সে পাশ করেছে এবং মার্কশিটও নিয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোনও সন্ধান না পেয়ে পুরুলিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বাড়ির লোকজন। আনন্দর জামাইবাবু পার্থ বিদ বলেন, “আমরা সব জায়গায় ওর খোঁজ করেছি। কোথাও পাইনি। ও বলেছিল ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ নম্বর পাবে। তবে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এই কারণেও ওর মনে আঘাত লাগতে পারে। আমরা ওর খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছি।”

বোমায় জখম
দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় জখম হলেন দুই ব্যক্তি। তৃণমূলের দাবি, আহত ব্যক্তিরা তাদের সমর্থক। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানার লালমোহনপুর ও সাহাপুরের মাঝামাঝি। পুলিশ জানায়, জখম দুই ব্যক্তির বাড়ি লালমোহনপুরে। আহতদের এক জন সিউড়ি সদর হাসপাতাল এবং অন্য জন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad|Medinipur
National | Bidesh| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.