স্কুলের ভুলে মার্কশিট পেতে দেরি, ক্ষোভ

ধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দিষ্ট ফর্মে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর লিখতে ভুল করেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। মার্কশিট আসার পরে ভুল ধরা পড়ায় সেগুলি সংশোধনের জন্য ফের পর্ষদের কাছে পাঠিয়েছেন তাঁরা। এর জেরে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরে চার দিন কেটে গেলেও মার্কশিট হাতে পায়নি বাঁকুড়ার পুরন্দরপুর হাইস্কুলের ৭৩ জন পরীক্ষার্থী। ফলে উত্তীর্ণ হওয়া পরীক্ষার্থীরা কোনও স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে অভিভাবকেরা মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকের কাছে বিক্ষোভ দেখান।
বাঁকুড়া ২ ব্লকের এই স্কুলটি থেকে এ বার ৭৩ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। স্কুল সূত্রে জানা যায়, ৭১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। সর্ব্বোচ নম্বর ৬৫৬। মার্কশিট হাতে পাওয়ার পরে দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীদের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় পত্রের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর মার্কশিটে যোগ করা হয়নি। বাংলা ভাষার দু’টি পত্রে মোট ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হয়। মৌখিক পরীক্ষাগুলি স্কুল থেকেই নেওয়া হয়। বাংলার দু’টি পত্রের মৌখিকের নম্বর যোগ করে পর্ষদের পাঠানো নির্দিষ্ট ‘ফর্মে’ লিখে পাঠিয়ে দিতে হয়। প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলার দু’টি পত্রের মৌখিক পরীক্ষা দু’জন শিক্ষক নিয়েছিলেন। আমি ভুল করে প্রথম পত্রের মৌখিকের প্রাপ্ত নম্বরগুলি লিখে ফেলেছিলাম। পরে ভুল বুঝতে পেরে দ্বিতীয় পত্রের মৌখিকের নম্বরগুলি পাশে হাতে লিখে পাঠাই। ভেবেছিলাম, পর্ষদের কর্মীরা যোগ করে মার্কশিটে বসাবেন। কিন্তু, মার্কশিট পাওয়ার পরে দেখি শুধু প্রথম পত্রের মৌখিকের নম্বরের উল্লেখ রয়েছে।” তাঁর দাবি, “স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পর্ষদ, দু’তরফেই ভুল হয়েছে। তাই মার্কশিটগুলি বিলি না করে সোমবার পর্ষদের অফিসে সংশোধনের জন্য জমা দিয়ে এসেছি। দু’এক দিনের মধ্যেই সংশোধিত মার্কশিট এনে বিলি করা হবে।”
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ তুলে এ দিন সকালে প্রধান শিক্ষকের অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান। অভিভাবক মদন রায়, সুবোধ মুখোপাধ্যায়, আন্না সিংহদের অভিযোগ, “স্কুল থেকে শুধু জানা গিয়েছে, কারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু, এত দিন কেটে গেলেও কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছে জানা যায়নি। অন্য সব স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের প্রধান শিক্ষকের ভুলের মাসুল দিতে হচ্ছে।” প্রধান শিক্ষক তাঁদের আশ্বাস দেন, ছাত্রছাত্রীদের এই স্কুলেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হবে। অভিভাবকেরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, “যারা অন্য স্কুলে ভর্তি হতে চায়, তারা পরে মার্কশিট পেয়ে কী করবে?” এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর অবশ্য প্রধান শিক্ষক দিতে পারেননি।

Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad|Medinipur
National | Bidesh| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.