চাকলতা, কাপাসগোড়া, মানপুর, দলদলি, ভাগাবাঁধ-সহ বিভিন্ন গ্রামে কুয়ো খননের কাজ শুরু করেছে পঞ্চায়েত। ব্লক তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পৈতণ্ডির অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের কর্তাব্যক্তিরা কুয়ো খননের জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ করেছেন। যাঁদের কুয়ো পাওয়ার কথা, তাঁরা পাননি। আবার এক জনের নামে বরাদ্দ কুয়ো অন্য জনকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ব্যক্তিগত জমিতে কুয়ো খনন করা হলেও দল ব্যবহারের জন্য পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে লিখিত চুক্তি করেনি। যাতে পরবর্তী কালে এলাকার বাসিন্দারাও ওই কুয়োর জল ব্যবহার করতে পারেন।”
এই সমস্ত আপত্তির কথা লিখিত ভাবে গত ২১ এপ্রিল পঞ্চায়েতে জমা দিয়েছিল তৃণমূল। বিশ্বনাথবাবু বলেন, “২৫ এপ্রিল আমরা একই অভিযোগ বিডিও-র কাছেও জমা দিই। কিন্তু কোনও তদন্তই হয়নি। উল্টে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে কোথাও কোথাও কুয়ো বাঁধাইয়ের কাজ হচ্ছিল। এই সব কারণেই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।” তার জেরেই সোমবার বিকেলে প্রধান-সহ কর্মীদের তালাবন্ধ করে আটকে রাখা হয়। তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, অভিযোগের পরেও প্রশাসনিক কর্তাদের টনক না নড়ায় বাধ্য হয়ে তাঁরা তালা ঝুলিয়েছেন। বিডিও যাওয়ার পরে তালা খুলে দেওয়া হয়।
পঞ্চায়েত প্রধান নারায়ণ মুদি বলেন, “বিভিন্ন এলাকার গ্রামোন্নয়ন সমিতি থেকে আমাদের কাছে যে তালিকা পাঠানো হয়েছিল, তার ভিত্তিতে প্রাপকদের নামের তালিকা তৈরি হয়েছিল। আমি ওঁদের (তৃণমূল) এই বিষয়টি বলার পরেও ওঁরা বুঝতে পারেননি। উল্টে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।” বিডিও বিশ্বনাথবাবু বলেন, “কুয়ো বণ্টন ঘিরে বির্তকের জেরে পঞ্চায়েতে তালা পড়েছিল। আমি অভিযোগকারীদের বলেছি, গ্রামে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত (সোশ্যাল অডিট) করা হবে। ওঁরা তা মেনে নিয়েছেন।” |