কুয়ো খনন নিয়ে ক্ষোভ, হুড়ায় অফিসে আটক পঞ্চায়েত প্রধান
লাকায় তীব্র জলাভাবের দরুণ বর্ষার আগে বছরে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কুয়ো খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পঞ্চায়েত। অভিযোগ, এলাকার বিভিন্ন গ্রামে কুয়ো বণ্টনের প্রশ্নে পঞ্চায়েত স্বজনপোষণ করেছে। এই অভিযোগে সোমবার বিকেলে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে হুড়া ব্লকের দলদলি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে।
সোমবার ওই অভিযোগের জবাব চাইতে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে যান এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধানের ব্যাখ্যায় ‘সন্তুষ্ট’ না হয়ে তৃণমূলের লোকজন প্রধান ও কয়েক জন কর্মীকে কার্যালয়ে তালাবন্দি করে রাখেন। উত্তেজনা বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় হুড়ার বিডিও বিশ্বনাথ রক্ষিত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ওই গ্রামে যান। তিনি তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পরে প্রধান ও কর্মীরা মুক্তি পান।
পঞ্চায়েত দফতরে তালা। ছবি: প্রদীপ মাহাতো।

চাকলতা, কাপাসগোড়া, মানপুর, দলদলি, ভাগাবাঁধ-সহ বিভিন্ন গ্রামে কুয়ো খননের কাজ শুরু করেছে পঞ্চায়েত। ব্লক তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পৈতণ্ডির অভিযোগ, “পঞ্চায়েতের কর্তাব্যক্তিরা কুয়ো খননের জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ করেছেন। যাঁদের কুয়ো পাওয়ার কথা, তাঁরা পাননি। আবার এক জনের নামে বরাদ্দ কুয়ো অন্য জনকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ব্যক্তিগত জমিতে কুয়ো খনন করা হলেও দল ব্যবহারের জন্য পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে লিখিত চুক্তি করেনি। যাতে পরবর্তী কালে এলাকার বাসিন্দারাও ওই কুয়োর জল ব্যবহার করতে পারেন।”
এই সমস্ত আপত্তির কথা লিখিত ভাবে গত ২১ এপ্রিল পঞ্চায়েতে জমা দিয়েছিল তৃণমূল। বিশ্বনাথবাবু বলেন, “২৫ এপ্রিল আমরা একই অভিযোগ বিডিও-র কাছেও জমা দিই। কিন্তু কোনও তদন্তই হয়নি। উল্টে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে কোথাও কোথাও কুয়ো বাঁধাইয়ের কাজ হচ্ছিল। এই সব কারণেই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।” তার জেরেই সোমবার বিকেলে প্রধান-সহ কর্মীদের তালাবন্ধ করে আটকে রাখা হয়। তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, অভিযোগের পরেও প্রশাসনিক কর্তাদের টনক না নড়ায় বাধ্য হয়ে তাঁরা তালা ঝুলিয়েছেন। বিডিও যাওয়ার পরে তালা খুলে দেওয়া হয়।

পঞ্চায়েত প্রধান নারায়ণ মুদি বলেন, “বিভিন্ন এলাকার গ্রামোন্নয়ন সমিতি থেকে আমাদের কাছে যে তালিকা পাঠানো হয়েছিল, তার ভিত্তিতে প্রাপকদের নামের তালিকা তৈরি হয়েছিল। আমি ওঁদের (তৃণমূল) এই বিষয়টি বলার পরেও ওঁরা বুঝতে পারেননি। উল্টে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।” বিডিও বিশ্বনাথবাবু বলেন, “কুয়ো বণ্টন ঘিরে বির্তকের জেরে পঞ্চায়েতে তালা পড়েছিল। আমি অভিযোগকারীদের বলেছি, গ্রামে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত (সোশ্যাল অডিট) করা হবে। ওঁরা তা মেনে নিয়েছেন।”
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad|Medinipur
National | Bidesh| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.