টুকরো খবর


বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে চায় বসিরহাটের তৌসিফ
মাধ্যমিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কৃতী ছাত্রদের অন্যতম একজন হিসাবে উঠে এল বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদের হরিপুর গ্রামের তৌসিফ ইসলাম। টাকি রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ ব্যিদালয়ের ছাত্র তৌসিফ মাধ্যমিকে পেয়েছে ৭৪৮ নম্বর। সব কটি বিষয়েই লেটার। তৌসিফের কথায়, “আলাদা করে কোনও গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন তার হয়নি। সমস্যায় পড়লে স্কুলের শিক্ষকেরাই তাঁকে সাহায্য করেছেন। তবে পরীক্ষার আগে স্কুলেরই তিন জন শিক্ষকের কাছে পড়েছি।” পড়াশোনার মাঝে সময় পেলেই ক্রিকেট কিংবা ক্যারম আর তা না হলে গল্পর বই-ই নেশা তৌসিফের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নজরুল ইসলামের গল্পই তার বেশি ভাল লাগে বলে জানাল তৌসিফ। এ ছাড়া ভাল আবৃত্তি, অভিনয়ের জন্যও বিভিন্ন জায়গায় ডাক পড়ে তার। বাবা খয়রুল ইলামের কথায়, “ঘড়ি ধরে ওর পড়ার অভ্যাস নেই। পরীক্ষার সময়েও রাত জাগেনি।” এত ভাল রেজাল্ট করার পরে ভবিষ্যতে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণামূলক পড়াশোনা করতে চায় তৌসিফ। যদিও বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছেলে চিকিৎসক হোক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বামী অঘোরাত্মান্দ জানান, ছাত্র হিসাবে তৌসিফ বরাবরই ভাল।

চিকিৎসক হতে চায় হাবরার দীপ্র
সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় হাবরার দীপ্র বিশ্বাস। এ বার মাধ্যমিকে ৭৩২ নম্বর পেয়ে সে যেমন নিজের স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে, তেমনই স্থান করে নিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার কৃতীদের তালিকায়। হাবরা হাইস্কুলের ছাত্রটি মাধ্যমিকে অঙ্কে পেয়েছে ১০০, জীবনবিজ্ঞানে ৯৮, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৯, ইংরাজিতে ৯১, বাংলায় ১৬৪ এবং ভূগোল ও ইতিহাসে ৯০ করে। তার স্কুলে এটাই সর্বোচ্চ নম্বর। হাবরার বেলঘরিয়ার বাসিন্দা দীপ্র বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা দিলীপবাবু কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী। নির্দিষ্ট কোনও রুটিন মেনে নয়, মাধ্যমিকের জন্য দীপ্র রোজ ৬-৭ ঘণ্টা করে পড়ত। গৃহশিক্ষক ছিলেন ৭ জন। নিজের সাফল্যের পিছনে যাবতীয় কৃতিত্ব সে বাবা-মা এবং শিক্ষকদেরই দিতে চায়। পড়াশোনার পাশাপাশি রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং আঁকা শেখে দীপ্র। অবসর সময়ে বাগান পরিচর্যা এবং গল্পের বই পড়তে ভালবাসে। প্রিয় লেখক রবীন্দ্রনাথ এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে নিজের স্কুলেই পড়ার ইচ্ছা দীপ্রর। তার কথায়, “এলাকার আর্ত, গরিব মানুষের সেবা করতেই চিকিৎসক হতে চাই। তার জন্য আরও ভাল করে পড়াশোনা করতে হবে।” ছেলের এই সাফল্যে গর্বিত দিলীপবাবু। খুশি দীপ্রর মা অঞ্জনাদেবীও।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
আমবাগানের মধ্যে অস্থায়ী ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটিছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার আটঘরা গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বরেন দাস (২৭)। বাড়ি মসলন্দপুরে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ চার কিশোর

ফের বারাসতের কিশলয় হোম থেকে নিখোঁজ হল চার কিশোর। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের নাম বিকেন্দ্র হেমব্রম, রাজ বিশ্বাস, প্রবীনকুমার এবং পরদেশি। বছর পনেরোর ওই কিশোরেরা সোমবার হোম থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে তাদের খোঁজ না পেয়ে মঙ্গলবার বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হোম কর্তৃপক্ষ। এর আগেও ওই আবাসিক হোম থেকে কিশোর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

বচসার জেরে মৃত্যু

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম মন্টু দাস (৩২)। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে বারাসত থানার পালপাকুরিয়ায় একটি জমি নিয়ে মন্টুবাবুর সঙ্গে তাঁর শ্যালক সাধন অধিকারীর গণ্ডগোল হয়। অভিযোগ, সেই সময়ে মন্টুবাবুকে মারধর করেন সাধন। বারাসত হাসপাতালে রাতে মন্টুবাবুর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরে সাধন ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Previous Story South Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad|Medinipur
National | Bidesh| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.