টুকরো খবর


৫০ হাজার কুড়িয়ে পেয়েও পুলিশে দিলেন মনোরঞ্জন
বাড়ি ফেরার পথে আচমকাই হাতে এসে গিয়েছিল ‘আলাদিনের প্রদীপ’। তবে ‘আশ্চর্য’ ভাবে তা ফিরিয়ে দিয়েছেন নুন আনতে পান্তা ফোরানো মনোরঞ্জন মোহন্ত। সোমবার রাতে নবদ্বীপ বউবাজারের কাছে তাঁর ভগ্নপ্রায় ভ্যানরিকশা থমকে গিয়েছিল যে পুঁটলিটির সামনে তাতে ছিল কড়কড়ে ৫০ হাজার টাকা। কুড়িয়ে নিয়ে খানিক থতমত খেয়ে শেষমেশ তা পুলিশের হাতেই তুলে দিয়েছেন মনোরঞ্জন। নবদ্বীপের শ্রীবাসঅঙ্গন রোডের বাসিন্দা মধ্য পঞ্চাশের মনোরঞ্জন বলেন, “নির্জন রাস্তায় টাকার একটি বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখি। টাকাটা নিয়ে কোনও দিকে তাকাইনি। সোজা গিয়েছিলাম থানায়। বড়বাবুর হাতে টাকার ব্যাগটি তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত।” পুলিশ জানিয়েছে, বান্ডিলটিতে ৫০ হাজার টাকা ছিল। তবে এখনও কেউ ওই টাকা দাবি করেনি। নিজের কোনও বাড়ি নেই। নবদ্বীপ পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে শ্বশুরবাড়ির এক চিলতে ঘরে স্ত্রী এবং এক মেয়েকে নিয়ে থাকেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মনোরঞ্জনবাবু বলেন, “ভ্যানে মাছ, সব্জি নিয়ে যাই। যাত্রী টানতে পারি না। শরীরে দেয় না। কোনও দিন ৫০-১০০ টাকা রোজগার হয়। আবার কোনওদিন কিছুই পাই না। এ ভাবেই চলছে।” টাকার অভাবে ছোট মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না। তার মধ্যে বড় মেয়ের চিকিৎসার জন্য সোমবার সকালে স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে এক হাজার টাকা ধার করেছেন। নির্জন রাস্তায় অতগুলো টাকা পেয়ে থানায় চলে গেলেন? মনোরঞ্জবাবুর কথায়, “এ তো আমার কর্তব্য! তা ছাড়া এমন চিন্তা কখনও মাথায় আসেনি। তা হলে এত দিনে ছোট মেয়ের বিয়ে হয়ে যেত।” তবে এটাই প্রথম না। এর আগেও বেশ কয়েকবার রাস্তায় টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলেন মনোরঞ্জনবাবু। তিনি বলেন, “সে বার নিজেরাই খোঁজখবর করে মালিককে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। এ বার আর ঝুঁকি নিইনি।”

চার জনের যাবজ্জীবন
সিপিএমের শাখা সংগঠন ডিওয়াইএফ-এর সদস্য সৃজন মণ্ডল (৩৬) ওরফে টফি খুনের ঘটনায় ৪ জনের যাবজ্জ্বীবন দিলেন বহরমপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক ফার্স্ট কোর্ট) শ্যামল বিশ্বাস। খুনের ঘটনায় তাঁর দোকানের কর্মী সুজয় ব্রহ্ম গুরুতর জখম হন। মঙ্গলবার বিচারক বলেন, “খুনের ঘটনায় ৩ জনকে যাবজ্জ্বীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল। সুজয় ব্রহ্ম জখম হওয়ার ঘটনায় আরও ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হল।” সরকার পক্ষের আইনজীবী অমিয় সিংহ জানান, ২০০৮-এর ১৩ এপ্রিলের ওই খুন ও জখমের ঘটনায় আরও ৪ জন অভিযুক্ত হলেও প্রমণাভাবে তাঁদের বিচারক বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত ও খালাস হওয়া মিলে ৭ জনই কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। সাজাপ্রাপ্তদের নাম গোপাল দাস, স্বরূপ মণ্ডল ওরফে বুড়ো, বিপ্লব দে ওরফে মনা। বাড়ি বহরমপুরে।

বিবাদ, বাস বন্ধ
স্ট্যান্ডে বাস দাঁড়ানোর জায়গা নেই। বহরমপুরে গৌতম প্রামাণিকের তোলা ছবি।
পুরসভার উদ্যোগে গত রবিবার থেকে বহরমপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস ‘মোহনা’ থেকে পঞ্চাননতলা রেলগেট পর্যন্ত প্রায় দু’ কিলোমিটার পথ যানজট মুক্ত করার অভিযান চলছে। মঙ্গলবার ওই অভিযানের তৃতীয় দিনে বাস টার্মিনাসের সামনে ৩৪ জাতীয় সড়কে যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে পুরকর্মীদের সঙ্গে বাস কর্মীদের বিরোধ বাধে। পুরকর্মীরা তাঁদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ তুলে বাসকর্মীর এ দিন দুপুরে হঠাৎ জেলা জুড়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। ঘণ্টা তিনেক বাস চলাচল বন্ধ থাকে। বাস মালিক সমিতির সম্পাদক তপন অধিকারী বলেন, “পুরপ্রধান ও বাসকর্মী সংগঠনের সম্পাদককে নিয়ে আলোচনা করে গণ্ডগোল মিটিয়ে ফেলেন। বিকেল থেকে ফের বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।”

আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত লক্ষ্মণ হালদারের বাড়ি চাপড়ার কড়ুইগাছি গ্রামে। সোমবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ধানের গোলা থেকে উদ্ধার হয় একটি পাইপগান। পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষ্মণ পিঁপড়েগাছি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম সদস্যের ভাই। এলাকায় সিপিএমের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। ব্লক তৃণমূল সভাপতি হরিদাস প্রামাণিকের কথায়, “সিপিএম এলাকায় সন্ত্রাস চালাতে ওই সব অস্ত্র মজুত করেছিল।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য ও প্রাক্তন বিধায়ক সামশুল ইসলাম মোল্লা বলেন, “সর্বত্র তৃণমূলের লোক অস্ত্র রেখে দিয়ে পরে অস্ত্র উদ্ধারের যে নাটক করছে, এখানেও সেটাই হয়েছে।”

পঞ্চায়েতে অনাস্থা

সিপিএমের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন তৃণমূল ও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যেরা। কৃষ্ণগঞ্জ থানার শিবনিবাস পঞ্চায়েতের ১১ জনের মধ্যে ৬ সিপিএম, ৩ তৃণমূল ও ২ বিজেপির সদস্য। তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য লক্ষ্মণ ঘোষ চৌধুরীর অভিযোগ, “পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নে পুরোপুরি ব্যর্থ।” ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিপিএমের অসিত ঘোষ বলেন, “অভিযোগ মিথ্যা। ওরা জোর করে আমাদের অপসারিত করতে চাইছে।”

Previous Story Murshidabad Next Item



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad|Medinipur
National | Bidesh| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.