|
ব্যাঙ্ক মামলা |
মোটেই ভয় দেখিয়ে সই করানো হয়নি তাপসকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²তেহট্ট |
|
করিমপুরের রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে খুন ও ডাকাতির ঘটনায় সোমবার তেহট্ট ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের জেলা ও দায়রা বিচারক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য দিলেন করিমপুর থানার কনস্টেবল কাজল ব্রহ্ম।
সরকার পক্ষের আইনজীবী অনিকেত জোয়ারদারের প্রশ্নের উত্তরে এ দিন কাজলবাবু বলেন, “১২ নভেম্বর ২০০৯ করিমপুর থানার বড়বাবুর সঙ্গে রাত এগারোটা নাগাদ ওই ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। সেখানে ভল্ট রুমে অমিত মল্লিক নামে ওই ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে ছিলেন।” তিনি জানান, ব্যাঙ্ক কর্মী এবং পুলিশই আহত অমিতবাবু ও চার জনের মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলে। ওই সময়েই এক ব্যাঙ্ক কর্মী একটি লিখিত অভিযোগ ‘বড়বাবু’-কে দেন। যা ওই কনস্টেবলকে থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৫ নভেম্বর থানার বড়বাবু এবং অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে অভিযানে তিনি যে আসানসোলের একটি হোটেলে গিয়েছিলেন এ দিন সে কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, “ওই হোটেল থেকেই তাপস ঘোষাল এবং আজাদ খাঁ-কে গ্রেফতার করা হয়েছিল।” |
অনিকেত: ১৭ নভেম্বর আপনি কোথায় গিয়েছিলেন?
কাজল: বড়বাবুর সঙ্গে তাপস ঘোষালের বাবা মঙ্গলময়বাবুর বাড়ি গিয়েছিলাম।
অনিকেত: কটা নাগাদ গিয়েছিলেন?
কাজল: রাত বারোটা হবে।
অনিকেত: সেখানে গিয়ে কী হল?
কাজল: ওই বাড়িতে সিঁড়ির ঘরের বাঙ্কারে টাকা ছিল। অভিযুক্ত তাপস ঘোষাল ওই টাকা বের করে আনল।
অনিকেত: কিসে করে ওই টাকা এনেছিলেন?
কাজল: তা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
অনিকেত: তাপর কী হল?
অনিকেত: বড়বাবু সেগুলো সাক্ষীদের সামনে সিজ করলেন।
অনিকেত: ওই বাড়িতে টাকা ছাড়া আর কী পাওয়া গিয়েছিল?
কাজল: টাকা ছাড়া এক জোড়া কালো পাম্প শু, কালো প্যান্ট আর একটি গোল গলা গেঞ্জি পাওয়া গিয়েছিল।
অনিকেত: সিজার লিস্টে আপনি ছাড়া আর কে কে সই করেছিলেন?
কাজল: তাপস ঘোষাল ও তার বাবা মঙ্গলময় এবং সাক্ষীরা সই করেছিলেন। |
এরপর কাজলবাবুকে জেরা শুরু করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকি। কিন্তু কাজল ব্রহ্ম নামে ওই কনস্টেবল জানান, আইনজীবীর প্রশ্ন তিনি বুঝতে পারছেন না। এরপরেই সোমবার সাক্ষ্যগ্রহড় শেষ করে দিয়েছিলেন বিচারক। মঙ্গলবার পের সাক্ষ্য দিতে ওঠেন কাজলবাবু। |
আবু বক্কর: ১২ নভেম্বর ২০০৯ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত কোথায় কোন ডিউটিতে ছিলেন বলতে পারবেন?
কাজল: বিশদে বলতে পারব না।
আবু: থানার ডিউটি রেজিস্টারে কি তা পাওয়া যাবে?
কাজল: হ্যা।
আবু: ১৭ নভোম্বর ২০০৯ সালে আপনি, বড়বাবু ছাড়া আর কে কে তাপস ঘোষালের বাড়ি গিয়েছিলেন, বলতে পারবেন?
কাজল: আমাদের সঙ্গে আরও কয়েক জন পুলিশ কর্মী ছিলেন। তবে নাম মনে নেই।
আবু: সিজার লিস্ট বড়বাবুর ঘরে তৈরি হয়েছিল তো?
কাজল: না, তাপস ঘোষালের বাড়িতে।
আবু: তাপস ও তার বাবাকে জোর করে ভয় দেখিয়ে ওই লিস্টে সই করানো হয়েছিল তো?
কাজল: না, তাঁদের মোটেই জোর করে ভয় দেখিয়ে সই করানো হয়নি। |
|