বিএড-এর ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা কাটাতে বৈঠক করবেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কাউন্সেলিং বোর্ডের সদস্যরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানসূত্র বের করার আশায় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন্দদুলাল পড়্যার বক্তব্য, “আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।” সোমবার কোনও বেসরকারি কলেজের প্রতিনিধি কাউন্সেলিং-এ উপস্থিত ছিলেন না। মঙ্গলবারও তাই হয়েছে। কাউন্সেলিং বোর্ড খোলা থাকলেও সেখানে বেসরকারি কলেজের প্রতিনিধি আসেননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতার জন্যও আবেদন জানানো হবে।
বাড়তি ভর্তি ফি নেওয়া নিয়েই এই পরিস্থিতির সূত্রপাত। গত বছর পর্যন্ত বিএড পড়ার ক্ষেত্রে ছাত্র-পিছু ৩০ হাজার টাকা নির্দিষ্ট করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তী কালে ফি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তখন ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ফি ৩৫ হাজার টাকা করা হয়। কিন্তু বেসরকারি কলেজগুলির দাবি কমপক্ষে ছাত্র-পিছু ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে। কারণ, ছাত্র সংখ্যা সীমিত। অন্য দিকে এনসিটিই-র নিয়ম মেনে পরিকাঠামো তৈরি, শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ, তাঁদের মাইনে দেওয়ার দায় রয়েছে। ফি না বাড়ালে তাঁদের ক্ষেত্রে কলেজ চালানো কঠিন বলে জানান বেসরকারি কলেজগুলির কর্তৃপক্ষ। বিএডের কাউন্সেলিং হয় বিশ্ববিদ্যালয়েই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন, কোন ছাত্রছাত্রী কোন কলেজে পড়ার সুযোগ পাবেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১৭টি বিএড কলেজ রয়েছে। তার মধ্যে ১২টি বেসরকারি ও ৫টি সরকারি। গত ২৩ মে থেকে চলতি বছরের কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। কিন্তু ভর্তি ফি বাড়াতে হবে, এই দাবিতে সোমবার থেকে বেসরকারি কলেজগুলো কাউন্সেলিং-এ আসছে না। নির্র্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আজ, বুধবারই কাউন্সেলিং শেষ হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বুধবারের পর বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।
এ দিকে, এ দিন বিএড সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কমিটির বক্তব্য, কোনও অজুহাতেই অতিরিক্ত ফি নেওয়া চলবে না। অবিলম্বে কাউন্সেলিং শুরু করতে হবে। উপাচার্য জানান, কাউন্সেলিং বোর্ড খোলাই রয়েছে। কিন্তু বেসরকারি কলেজগুলোর প্রতিনিধি সেখানে না-এলে তাঁদের কিছু করণীয় নেই। তবে তিনি আশ্বাস দেন, কোনও মতেই কলেজগুলোর দাবি মেনে ভর্তি ফি বাড়ানো হবে না। |