থ্যালাসেমিয়ার বাধা পেরিয়ে সফল সাগর |
নিজস্ব সংবাদদাতা ²কাঁথি |
বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিনই লড়াই করতে হয়। কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের বৈকুণ্ঠপুরের বাসিন্দা সাগর শিট আক্রান্ত থ্যালাসেমিয়ায়। মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সেই রোগ ধরা পড়ে। তার পর থেকেই চলছে বেঁচে থাকার লড়াই।
সেই লড়াই চালাতে চালাতেও জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ সাগর। দেশপ্রাণ ব্লকের চাঁপাতলা হাইস্কুল থেকে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল সে। |
নিজস্ব চিত্র। |
অঙ্ক, ভৌতবিজ্ঞানে ভাল ফল করেছে। ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চায় সাগর। আপাতত কাঁথি ক্ষেত্রমোহন বিদ্যাভবনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। সাগরের ছোট ভাইও এ বার দাদার সঙ্গেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। সসম্মানে উত্তীর্ণ সে-ও। বাবা পুলিনবিহারি শিট চাঁপাতলা হাইস্কুলেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। দুই ছেলে আর এক মেয়ের মধ্যে সাগর ও মেয়ে সুজাতাদু’জনে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। পুলিনবাবুর রোজগারের প্রায় পুরোটাই ছেলে-মেয়ের চিকিৎসাতে খরচ হয়ে যায়। বস্তুত |
|
এখন সর্বস্বান্ত অবস্থা তাঁর। বসতবাড়িটুকু ছাড়া সঞ্চয় বলতে কিছুই নেই। অসুস্থ সাগর আর তার বোন সুজাতার চিকিৎসা চালিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা কী ভাবে চালাবেন, বুঝে পাচ্ছেন না। দরিদ্র পরিবারের সন্তান সাগর নিজে জানে, কত কষ্ট করে পড়াশোনা চালাতে হয়। তাই তার লক্ষ্য ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়া। আগামী দিনে গরিব বাড়ির ছেলেমেয়েদের বিনা পয়সায় পড়াতে চায় সে। |
|