বিশেষ উন্নয়নমূলক কাজের জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে এক কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতর মারফত এই অর্থ বরাদ্দ হবে। কী কী কাজ হবে, ইতিমধ্যেই তার খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছে জেলা প্রশাসন। গুরুত্ব বেশি কৃষি-ক্ষেত্রেই। মাটি পরীক্ষাগার গড়ে তোলা এবং কৃষি-কারিগরি বিভাগকে ঢেলে সাজার কথা ভাবা হয়েছে। এ জন্য বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও কেনা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেটিভ ফান্ডে’ এই ১ কোটি টাকা বরাদ্দ হবে। এক-দু’দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত পরিকল্পনা রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় অর্থে জেলায় ৭টি মাটি পরীক্ষাগার গড়ে তোলা হবে। গড়বেতা, ঝাড়গ্রাম, খড়গপুর ১, শালবনি, নারায়ণগড়, চন্দ্রকোনা ১ ও ঘাটালে পরীক্ষাগার হবে। কেনা হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি। শ্রী-পদ্ধতিতে ধান চাষ যাতে বাড়ে, তার ব্যবস্থা হচ্ছে। ঢেলে সাজা হচ্ছে কৃষি-কারিগরি বিভাগকে। বরাদ্দ অর্থের একাংশ স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও ব্যয় করা হবে। কেনা হবে ইউএসজি মেশিন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছে। আপাতত কৃষি ও স্বাস্থ্য-ক্ষেত্রেই আমরা গুরুত্ব দিয়েছি।” তাঁর কথায়, “নয়গ্রাম, গোপীবল্লভপুরের মতো এলাকায় ধান উৎপাদন কম হয়। জলের সমস্যা থাকায় চাষ মার খায়। তাই এই সব এলাকায় উৎপাদন বাড়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।” প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী, মোট খরচের ১০ শতাংশ অর্থ উপভোক্তাকে দিতে হবে। বাকি ৯০ শতাংশ অর্থ দেবে কেন্দ্রই। ওই আধিকারিকের কথায়, “এ ক্ষেত্রে উপভোক্তা কোনও সরকারি সংস্থাও হতে পারে, আবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও হতে পারে। যারা সমাজের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করেন।”
জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, “ইনোভেটিভ ফান্ডে ১ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সেই মতো পরিকল্পনা রিপোর্ট তৈরি করছি। রিপোর্ট জমা পড়লেই কর্তৃপক্ষ অর্থ বরাদ্দ করবে।” প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলার ৭টি এলাকায় আগেই মাটি পরীক্ষাগার গড়ার তোড়জোড় হয়েছিল। জায়গাও নির্দিষ্ট হয়। কিন্তু অর্থাভাবে কাজ এগোয়নি। |