রাস্তা বেঁকেছে বিপজ্জনক ভাবে। সেই বাঁকের উপর নির্মিত সেতুটিও খুব সরু। সেই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে চওড়া সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসনের এই ‘উদাসীনতা’র ফলে চরম ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা শিবগ্রাম ষাটপলসা সড়ক।
এই সড়ক দিয়েই চলাচল করে বহরমপুর-রামপুরহাট, রামনগর-রামপুরহাট রুটের বহু বাস। তারাপীঠ মন্দিরে যাওয়ার জন্যও ওই রাস্তাটি ব্যবহার করেন দুই জেলা-সহ দূর-দূরান্তের মানুষজন। কিন্তু ওই সড়কের ভগীরথপুর গ্রামের কাছে সেচ খালের উপর নির্মিত সেতুটি কার্যত মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটি এতটাই সংকীর্ণ যে পাশাপাশি দু’টি যানবাহন পারাপার তো দূরের কথা, একটি গাড়ি সেতুতে উঠলেই মানুষ দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। অনেক সময় সেতুর গার্ড ওয়াল যানবাহনের কিনারায় লেগে ঘষটে যায়। তাই, যেকোন সময় গার্ড ওয়াল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা। তার উপর সেতুটি রয়েছে বিপজ্জনক বাঁকের উপর।
তাই একটু অসাবধান হলেই থেকে যায় বিপদের আশঙ্কা। বাসকর্মী শ্যামল বাগদি, ট্রাকচালক সাধন দাসরা বলেন, “ওই সেতু পারাপারের সময় আমরা আশঙ্কায় থাকি। দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারি যেকোন সময়।” স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মহম্মদ জানে আলম, বাসমালিক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ, “প্রশাসনের সকল স্তরে চওড়া সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন ভট্টাচার্য বলেন, “সেতুটির বিষয়ে জানা নেই। পূর্ত (সড়ক) দফতরের সঙ্গে কথা বলে কি করা যায় দেখছি।” |