৩১ আষাঢ় ১৪১৯ রবিবার ১৫ জুলাই ২০১২


MACHO-মাছ
বর্ষায় খাল-বিল-পুকুর-নদী এমনকী বাজারেও মাছেদের রমরমা। বাঙালির কাছে, বর্ষার শ্রেষ্ঠতম মেছো-চরিত্রের নাম— ইলিশ।
কিন্তু তার বাইরেও যে বেশ কিছু MACHO-মাছ আছে বঙ্গ জীবনে, তাদের নিয়েই স্বাদবদল হোক এ বর্ষায়।
তন্দুরি বোয়াল

উপকরণ

বোয়াল মাছ: ৪ টুকরো টক দই: ৩ টেবল-চামচ বেসন বা ছাতু: দেড় টেবল-চামচ রসুন বাটা: ৩ টেবল-চামচ
আদা: ১ টেবল-চামচ শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো: ২ টেবল-চামচ ডিমের কুসুম: ২ টো জোয়ান: ৩ টেবল-চামচ নুন: স্বাদ মতো
ব্রাশের জন্য অয়েল: ২ টেবল-চামচ লেবুর রস: ১ টেবল-চামচ তন্দুর কালার: অল্প (ইচ্ছে হলে দিতে পারেন)



প্রণালী
মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
জল ঝরানো টক দই, বেসন, রসুন, আদা, শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো, ডিমের কুসুম, জোয়ান ও নুন, লেবুর রস দিয়ে মেখে নিন।
তার পর মাইক্রোগ্রিলে ১৫ মিনিট গ্রিল করতে হবে।
মাঝে এক বার গ্রিল থেকে বের করে নিয়ে অয়েল ব্রাশ করে নেবেন।
গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

শাহি মালাই চিতল

উপকরণ
চিতল মাছ: ৪ টুকরো তেজপাতা: ১টা গোটা জিরে: ১/২ চামচ নারকেল কোরা: ১ কাপ ঘন নারকেলের দুধ: ২ কাপ পেঁয়াজ: ১ বাটি (কুচানো)
আদা-রসুন বাটা: ২ চামচ লঙ্কাগুঁড়ো: ১ চামচ নুন: স্বাদ মতো হলুদ: ১ চামচ কাজুবাদাম পেস্ট: ২ চা-চামচ গোটা কাজু ও ক্রিম: ২ চামচ
ঘি: ২ চা-চামচ তেল: ৪ চামচ চারমগজ বাটা: ১ চামচ ধনে-জিরে বাটা: ২ চামচ পেস্তা: ৫-৬টা গরমমশলাগুঁড়ো: ১/২ চামচ

প্রণালী
প্যানে তেল গরম হলে নুন ও হলুদ মাখানো মাছ ভেজে রাখুন।
অন্য প্যানে ঘি দিয়ে জিরে ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে একে একে পেঁয়াজকুচি,
আদা-রসুন বাটা, ধনে-জিরে বাটা, নুন-হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ভাল ভাবে কষিয়ে নিন।
কাজুবাদাম ও চারমগজ দিয়ে নেড়ে নারকেলের দুধ মেশান।
ফুটে উঠলে মাছ ৮-১০ মিনিট দিয়ে ঢেকে রাখুন।
ঢাকা খুলে দেখুন, ঘি ভেসে উঠলে গরমমশলা দিয়ে সার্ভিং ডিশে নামিয়ে
কাজুবাদাম, পেস্তা ও কুরানো নারকেল দিয়ে গার্নিশ করে সার্ভ করুন।

বাচা মাছের তেলবড়ির ঝাল

উপকরণ

বাচা মাছ: ৪টে হলুদগুঁড়ো: ১ চা-চামচ কাঁচালঙ্কা বাটা: ২ চা-চামচ আদা বাটা: ১ চা-চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা: ১ চা-চামচ জিরে বাটা: ১ চা-চামচ
কালো জিরে: ১/২ চা-চামচ কাঁচালঙ্কা: ৩-৪টে নুন: স্বাদ মতো হিং-এর বড়ি: ৭-৮টা সরষের তেল: ১/২ কাপ হিং: ১ চিমটি



প্রণালী
কড়াইয়ে তেল গরম করে নুন-হলুদ মাখানো বাচা মাছ হাল্কা ভেজে তুলুন।
ওই তেলেই বড়ি ভাজুন।
পরিষ্কার তেলে কালো জিরে, হিং ফোড়ন দিয়ে সব মশলা হাল্কা ভাজা হলে জল দিন।
এই বার মাছ, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা ও বড়িভাজাগুলোও দিন। ঢাকা দিয়ে রান্না করুন।
বড়ি ও মাছ সেদ্ধ হলে নামিয়ে নিন।

ফলুই মাছের শুক্তো

উপকরণ
ফলুই মাছ (মাঝারি মাঝখান দিয়ে ২ টুকরো করা): ১টা ঝিঙে ডুমো করে কাটা: ২টো সরষে অথবা ঝিঙে শাক কুচানো: ১ কাপ
সরষের তেল: ১/২ কাপ আদা বাটা: ২ টেবল-চামচ ধনেগুঁড়ো: ১ চা-চামচ নুন: স্বাদ মতো দুধ: ১/৪ কাপ
ফোড়নের জন্য মেথি ও সরষে: ১/২ চামচ করে (সরষের সঙ্গে একটা কাঁচালঙ্কা বেটে নেবেন)

প্রণালী
মাছ ধুয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে হাল্কা করে ভেজে নিন।
এই বার মাছ ভাজার তেলেই মেথি ও সরষে ফোড়ন দিন।
ঝিঙে দিয়ে হালকা সাঁতলে নিন।
সব মশলা দিন ও অল্প ভাজা হলে জল ঢেলে দিন।
ঢাকা দিয়ে রান্না করুন।
যখন দেখবেন ঝিঙে অর্দ্ধেক সেদ্ধ হয়ে এসেছে শাক দিয়ে দিন।
এ বার মাছ ও দুধ মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে আরও ২ মিনিট রান্না করুন।
লেবুপাতা দিয়ে নামিয়ে নিন।
গরমকালে এই মাছের শুক্তো শরীর ও পেট ঠান্ডা রাখে।


লাউ সাকে ভাপা কই
উপকরণ
কই মাছ মাঝারি: ৪টে লাউ শাক: ১ আঁটি আদা বাটা: ১/৩ চামচ ধনে-জিরে বাটা: ৪ চামচ গোটা জিরে: ১/৪ চামচ
নুন স্বাদ: মতো হলুদ: পরিমাণ মতো কাঁচালঙ্কা বাটা: ১/২ চামচ তেল: ৫ চামচ



প্রণালী
লাউ শাক কেটে সামান্য নুন দিয়ে সেদ্ধ করে রাখুন।
নুন-হলুদ দিয়ে মাছ মাখিয়ে রাখুন।
কড়াইয়ে তেল গরম হলে নুন-হলুদমাখা মাছ ভেজে তুলে রাখুন।
ওই তেলেই জিরে ফোড়ন দিন।
সুগন্ধি বেরোলে আদা বাটা দিয়ে নেড়ে নিন।
তার পর ধনে-জিরে বাটা, কাঁচালঙ্কা বাটা ও হলুদ দিয়ে কষিয়ে লাউ শাক সেদ্ধ দিয়ে একটু নেড়ে জল দিন।
ভাজা মাছ ও নুন দিয়ে ঢেকে দিন।
৫-৭ মিনিট পর ঢাকা খুলে দেখতে হবে জল শুকিয়ে গিয়েছে কি না।
জল শুকালেই সার্ভিং ডিশে নামিয়ে পরিবেশন করুন।


সৌজন্য: সানন্দা


রোজের আনন্দবাজার এ বারের সংখ্যা সংবাদের হাওয়াবদল আপনার রান্নাঘর চিঠি পুরনো সংস্করণ