ফুলহার নদীতে ১০৩ কোটি টাকার সেতুর শিলান্যাস হল বৃহস্পতিবার। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সেতুর শিলান্যাস অনুষ্ঠানের পরে বাসিন্দারা বাজি পাটিয়ে আবির খেলে উচ্ছাসে মাতেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এ দিন সেতুর শিলান্যাস করেছেন। তিনি বলেন, “দু’ বছরের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বাসিন্দারা যাতে দুর্ভোগে না পড়েন, সে জন্য কাজে কড়া নজরদারি চালানো হবে।”
প্রায় ২ কিলোমিটারের দৈর্ঘ্যের এ সেতু ভূতনি চরের সঙ্গে মানিকচকের সরাসরি যোগাযোগ ঘটাবে। তিন দিক গঙ্গা এবং এক দিক ফুলহার নদী ঘেরা ভূতনি চরের জনসংখ্যা লক্ষাধিক। গঙ্গার অন্য প্রান্তে ঝাড়খন্ড ও বিহার। মালদহ তথা মানিকচকের থেকে ওই চরকে বিচ্ছিন্ন করেছে ফুলহার নদী। সেতু না থাকায় মানিকচকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নৌকাই ছিল ভরসা। |
বর্ষায় তো বটেই, শীতকালেও ফুলহার নদীতে জল থাকায় বাসিন্দাদের মূল ভূখণ্ডে যোগাযোগ করতে বিপাকে পড়তে হতো। বিশেষত রাতের বেলায় কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।
শিলান্যাসের পরে মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ভূতনির চর পিছিয়ে ছিল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পযর্টন ও কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন করে রাজ্য সরকার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করবে।” এ দিন মানিকচকের কলেজের শিলান্যাসও করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। সেতু এবং কলেজ দুই রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের বিধানসভা এলাকায়। তাঁর কথায়, “ভূতনির চরে সেতু হলে মানিকচকের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্যা থাকবে না। সেই সঙ্গে মানিকচকে কলেজ তৈরি হলে মানিকচকের পড়ুয়াদের আর মালদহে যেতে হবে না।” তিনি বলেন, “এই সেতু তৈরির পুরো বরাদ্দই রাজ্য সরকার দিয়েছে।”
মানিকচক কলেজে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই কলেজের পঠনপাঠনের কাজ শুরু করা হবে বলে এ দিন জানানো হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীও। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দেয়, সেটা যত দ্রুত সম্ভব করে দেখায় তা আর এক বার প্রমাণ হল ভূতনি সেতুর শিলান্যাসে।” এ দিন সেতুর কাজ শুরুকে ঘিরে ভূতনির চরে উৎসব শুরু হয়ে যায়। ডান-বাম সকলেই সামিল হন। লঞ্চে ফুলাহার পেরিয়ে ভূতনি পৌঁছে অনুষ্ঠানে যান মন্ত্রীরা। |