কংগ্রেস নেতার উপর হামলার অভিযোগ ওঠায় দল থেকে সাসপেন্ড হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লগিন দাস। বুধবার বালুরঘাটে কংগ্রেস নেতার উপর গুলি চালানোর অভিযোগের ঘটনায় তাঁর নাম জড়িয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দলের তরফে বিবৃতি দিয়ে লগিনবাবুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “আমরা যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসমুলক কাজের বিরুদ্ধে। গুলিতে জখম লিটন মহান্ত জবানবন্দিতে তার উপর হামলার ঘটনায় দলের নেতা লগিন দাসের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলার মন্ত্রী থেকে রাজ্যস্তরের নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, এমন কাজে জড়িত কোনও নেতা কর্মীর পাশে দল দাঁড়াবে না।” বিপ্লববাবু জানিয়েছেন, শহরে সন্ত্রাসের কোনরকমের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৫ বছরের জন্য লহিনবাবুকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর কাছ থেকে কৈফিয়তও তলব করা হয়েছে। লগিনবাবু অবশ্য পাল্টা দাবি করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। দলীয় নেতৃত্বের ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
বুধবার ভরদুপুরে শহর লাগোয়া মঙ্গলপুরের ভিডিও হল মোড় এলাকায় বাড়ির সামনে ব্লক কংগ্রেস নেতা লিটন মহান্ত আক্রান্ত হন। বালুরঘাট-হিলি রাজ্য সড়কের ধারে এ দিন বাড়ির সামনের রাস্তার ধারে লিটন আড্ডা দিচ্ছিলেন। সে সময় গাড়িতে চেপে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ করে পরপর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁর পেটে ও হাতে ৫টি গুলি লাগে বলে জানানো হয়। ওই ঘটনাতেই ওই তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে যায়।
লিটনবাবুকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে বালুরঘাট হাসপাতাল এবং পরে মালদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই নেতার পেটে দু’টি ও হাতে দু’টি গুলি লাগে। একটি গুলি পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। পরে অবশ্য অস্ত্রোপচার করে চারটি গুলিই বার করা হয়। হাসপাতালেই লিটনবাবু অভিযোগ করেন, “লগিন দাসের মদতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে।” লগিনবাবু দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে। |