বাজিমাত ‘জোড়াফুল’ পুরি, মমতা রসগোল্লা আর ঘাসফুল পেল্লাই ল্যাংচায়। পরিবর্তনের ছোঁয়া তেলে ভাজাতেও। নাম বদলে মেলায় ঘুরে দাঁড়াল অতি পরিচিত পুরি আর রসগোল্লা। ফার্স্ট ফুডের দাপটে যারা কোণঠাসা-ই হয়ে পড়েছিল। পুরি হয়েছে ফুল পুরি। একসঙ্গে দুটি দেওয়া হয় বলে নতুন নাম ‘জোড়া ফুল’ পুরি। আর ল্যাংচার আগে বসেছে ঘাসফুল।
বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ির জর্দা নদী তীরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম শৈব-তীর্থ জল্পেশ মন্দির চত্বরে মেলা শুরু হয়েছে। মেলার প্রথম দিনেই মন্দির ঘুরে পুণ্যার্থীর ভিড় এগিয়েছে পুরি আর ল্যাংচার দোকানের দিকে। |
এ বার আর খদ্দের ডাকতে হচ্ছে না। মন্দির চত্বরে, মেলা মাঠে চক্কর কেটে খদ্দের নিজেরাই দোকান খুঁজে নিচ্ছেন। কেন এমন নামকরণ?
এক দোকান মালিক নিমাই ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যে পরিবর্তন এসেছে। তাই খাবারের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে।” নাম বদলে লাভ হয়েছে? প্রশ্ন শুনে আর এক দোকান মালিক দীপক দাস বলেছেন, “উৎসবের শুরুর দিনে কখনও এই ভাবে খাবারের দোকানে খদ্দেরদের হামলে পড়তে কেউ দেখেছেন।” বেলা ১২টা পর্যন্ত তিনশো ‘জোড়াফুল’ পুরি বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতাদের দাবি, নাম বদলে দেওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। নিছকই নাম বদলে এ পরিবর্তন, নাকি স্বাদেও তফাত আছে? |
প্লাস্টিকের টেবিল চেয়ারে বসে খাওয়ার ফাঁকে ধূপগুড়ির সিনেমাহলপাড়ার বাসিন্দা নির্মল দত্ত বলেন, “নাম শুনে চেয়ে নিলাম। চার বছর আগে খেয়েছিলাম। নতুনত্ব কিছু নেই। নামটাই পাল্টেছে।” বেলা যত গড়িয়েছে জল্পেশ মন্দির চত্বরে ভিড় বেড়েছে ততই। নেপাল, ভুটান, বিহার ও অসমের পুণ্যার্থীরা ট্রেনে ও গাড়িতে উৎসব প্রাঙ্গণে পৌঁছেছেন। সেই মতো চাহিদা বেড়েছে ঘাসফুল ল্যাংচা এবং মমতা মিষ্টিমুখ রসগোল্লার। ৫০ টাকা দামের এ মিষ্টি চেখে দেখেন অনেকে। ক্ষীরের পুর দেওয়া ৫০০ গ্রাম ওজনের মমতা মিষ্টিমুখ রসগোল্লা দেদার বিক্রি হয়। অসম গোয়ালপাড়ার রমেন সূত্রধর বলেন, “দিদির রাজ্যে এসেছি। দিদির নামে মিষ্টি খাব না হয় নাকি।” |