জানুয়ারিতে দার্জিলিংকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, এ বার ‘কাঞ্জনজঙ্ঘা ল্যান্ডস্কেপ কনজারভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ বা কেএলসিডি-র অধীনে এল ডুয়ার্স। বৃহস্পতিবারই শিলিগুড়ির শুকনায় কেএলসিডির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়। এতে কাঞ্চনজঙ্ঘা পার্বত্য অঞ্চলের বিশাল অংশের সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বাসিন্দাদের উন্নয়নের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন কেএলসিডির সদস্যরা। ১৯৯৭ সাল থেকে কেএলসিডি কাজ করছে। মূলত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ওই সংস্থা বন ও পরিবেশ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে থাকে। এই উদ্যোগে ভারতের সঙ্গে নেপাল ও ভুটানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এত দিন মূলত সিকিম নিয়েই কাজ হচ্ছিল। পরে দার্জিলিং ও এখন ডুয়ার্সের অন্তর্ভুক্তির ফলে উন্নয়নের কাজ আরও দ্রুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল বলেন, “এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে ২০১৫ সালের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে ফেলা হবে। সেই রিপোটের্র ভিত্তিতে উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।”
সুকনা বনবাংলোয় এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল বিপিন কুমার সুদ, কাঞ্চনজঙ্ঘা ল্যান্ডস্কেপের কো অর্ডিনেটর নকুল ছেত্রী, পর্ষদের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সদস্যরা। পর্ষদের পরবর্তী বৈঠক ভুটানের থিম্পুতে হবে বলে জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল বলেন, “হাতি সহ বিভিন্ন পশুর করিডর আটকে গিয়েছে বিভিন্ন কারণে। তা দখল মুক্ত করে বনাঞ্চলের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।” এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকা পরিবেশবিদ রাজ বসু ডুয়ার্সের পর্ষদে অন্তর্ভুক্তির ব্যপারটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড় ঘিরে যে অঞ্চলগুলি রয়েছে তা এই উন্নয়ন পর্ষদের অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। বনবাসী মানুষের জীবিকার উন্নয়ন করা পর্ষদের উদ্দেশ্য। ভারত, নেপাল ও ভুটানে জঙ্গল পরস্পর যুক্ত থাকায় বহু প্রাণী যাতায়াত করে। এটা বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না।” বৈঠকে নেপাল ও ভারতের ৩৪ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা সন্নিহিত এলাকার উন্নয়নে পরামর্শ দেন। ওদলাবাড়ি নেচার অ্যান্ড অ্যাডেভঞ্চার সোসাইটির মুখ্য পরামর্শদাতা বলবীর সিংহ বলেন, “ডুয়ার্স ও দার্জিলিংকে বাদ দিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা অঞ্চলের বন ও মানুষের উন্নয়ন সম্ভব নয়। খুব শীঘ্রই হাতে কলমে কাজ শুরু করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি মিলেছে। ১৪-১৮ এপ্রিল থিম্পুতে ভুটানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে বলে জানান নেপাল অংশে দায়িত্বে থাকা প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর নকুল ছেত্রী। |